ভিয়েনায় “স্বাধীনতা কাপ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট ২০২৫” চ্যাম্পিয়ন ইমন-জুনায়েদ জুটি

ফাইনাল খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান

ভিয়েনা ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বাংলাদেশ-অস্ট্রিয়া সমিতি আয়োজিত “স্বাধীনতা কাপ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট ২০২৫” অত্যন্ত উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আমাদের সংবাদদাতা জানান, অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির মোট ১৪টি জুটি প্রথমে দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে লীগ পদ্ধতিতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে।

দিনের শুরুতে বাংলাদেশ অস্ট্রিয়া সমিতির সভাপতি সালমান কবির সোহাগ বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর তানভীর আহমেদ তরফদার, অস্ট্রিয়া
বিএনপির সভাপতি নেয়ামুল বশির সহ কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠান ও টুর্নামেন্টটি সন্চালনার দায়িত্ব পালন করেন সমিতির একাধিক সদস্য নিয়ে সহ সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান শিবলী। এছাড়াও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন। তাছাড়াও সমিতির ক্রিয়া সম্পাদক সম্রাট ইসলাম ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান খেলায় অংশগ্রহণ করে দুর্দান্ত খেলে দর্শকদের মন জয় করেছেন।

বাংলাদেশ অস্ট্রিয়া সমিতি আয়োজিত এই আকর্ষণীয় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে আরও উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রিয়া বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা ফজলুর রহমান বকুল, সাধারণ সম্পাদক হানিফ ভূঁইয়া, ক্রীড়া সংগঠন বিডিএসএফ (BDSF) এর সভাপতি হেলাল উদ্দিন।

খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন জুটি ইমন ও জুনায়েদের হাতে কমিউনিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তুলে দেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান।

রানার্সআপ জুটি আরশ ও সোহাগকে ট্রফি তুলে দেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমিতির সভাপতি শ্রী সুশান্ত কুমার সাহা (সান্তা) ও সাধারন সম্পাদক দিদার বেপারী এবং সহ-সাধারন সম্পাদক জনাব মনির আকন্দ।

তৃতীয় স্থান অধিকারী জুটি শামীম-রুমনের হাতে ট্রফি তুলে দেন সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব হানিফ ভূঁইয়া এবং সোহেল মুস্তারী।

এছাড়াও, ‘ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট’ উপাধি অর্জনকারী যাইদ বিন সাইদের হাতে সম্মাননা ট্রফি তুলে দেন বাংলাদেশ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান মোহাম্মেদ জিয়াদুল ইসলাম চৌধুরী।

পার্টিসেপেন্ট পুরস্কার তুলে দেন বরিশাল বিভাগীয় সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা নাদিরা শিকদার ও সমিতির সদস্যা রাণী মুস্তারী।

এই গৌরবময় আয়োজনের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে খেলাধুলার প্রতি অনুরাগ এবং পারস্পরিক বন্ধনকে নতুন মাত্রায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সমগ্র আয়োজনটি এক অভূতপূর্ব মিলনমেলায় পরিণত হয়, যেখানে আনন্দ, গৌরব, এবং সৌহার্দ্যের এক অপূর্ব মিলন ঘটেছে। এই আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রবাসী বাংলাদেশিদের হৃদয়ে এক স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস/এম আর 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »