ফাইনাল খেলায় মোহামেডান পদ্মা রেঞ্জার্সকে ১-০ গোলে পরাজিত করে
ভিয়েনা ডেস্কঃ রবিবার (১৩ এপ্রিল) ভিয়েনার ওপর দিয়ে প্রবাহিত দানিয়ুব (জার্মানি ভাষায় ডোনাও) নদীর ওপর ভাসমান স্কুলে অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির এক জাকজমকপূর্ণ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিউনিটির বিপুল সংখ্যক দর্শক ছুটির দিনে পরিবার ও পরিজনসহ উপস্থিত ছিলেন।
অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির কিশোর ও তরুণদের মাঝে ফুটবল খেলাকে জনপ্রিয় করতে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করে বাংলাদেশ অস্ট্রিয়া সমিতির সাবেক দুই সভাপতি যথাক্রমে মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও মামুন হাসান। আর তাদেরকে সহযোগিতায় ছিলেন অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির তরুণ তামীম খাঁন।
দুপুরের দিকে এই আকর্ষণীয় টুর্নামেন্টটি উদ্বোধন করেন অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির সিনিয়র সদস্য মোহাম্মদ মোস্তফা। তিনি টুর্নামেন্টের প্রথম
খেলক অস্ট্রিয়া কুমিল্লা সমিতি বনাম পদ্মা রেঞ্জার্সের মধ্যকার খেলা শুরুর পূর্বে বলে লাথি মেরে টুর্নামেন্টের সূচনা করেন।
টুর্নামেন্টে অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির মোট সাতটি দল লীগ পদ্ধতিতে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলে। অংশগ্রহণকারী দলগুলো হল যথাক্রমে মোহামেডান, মোহামেডান বি,পদ্মা রেঞ্জার্স,এফসি ইউনিক, নিউ সিটি,জালালাবাদ সমিতি অস্ট্রিয়া ও কুমিল্লা সমিতি অস্ট্রিয়া।
লীগ খেলায় সবকটি খেলায় জয়লাভ করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির তরুণদের দল পদ্মা রেঞ্জার্স।
আর দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ভিয়েনা। লীগ খেলা শেষে পয়েন্ট তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় দলের মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
হয়।
তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ফাইনাল খেলায় মোহামেডান ও পদ্মা রেঞ্জার্স উভয়েই আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ করে খেলে। খেলার ৮ মিনিটের সময় পদ্মা রেঞ্জার্স
দলের সুপার গোলরক্ষক খ্যাত রাহাতের সামান্য অসাবধানতার জন্য জয়সূচক গোলটি পেয়ে যায় মোহামেডান। অবশ্য এক্ষেত্রে গোলরক্ষক রাহাতের তেমন কিছুই করার ছিল না।
এই সময় পদ্মা রেঞ্জার্সের রক্ষণভাগের একজন খেলোয়াড় গোলরক্ষক রাহাতকে ব্যাক পাস দিলে রাহাত যেহেতু গোল সীমানার ভিতরে ব্যাক পাসের
বল হাত দিয়ে ধরতে পারবে না,তাই সে দ্রুত বল পা দিয়ে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করে। এই সময় কাছে থাকা মোহামেডান স্পোর্টং ক্লাবের সুযোগ সন্ধানী স্ট্রাইকার মকবুল সুমন আস্তে করে পা উচুঁ করে বলে আলতোভাবে ছোঁয়া দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন (১-০)।
আকস্মিক ও অপ্রত্যাশিত গোল খাওয়ার পর টুর্নামেন্টের অত্যন্ত শক্তিশালী দল পদ্মা রেঞ্জার্স উপুর্যপরী আক্রমণের পর আক্রমণ করে খেলে।
তবে মোহামেডানের গোলরক্ষক মাহিন ও রক্ষণভাগে দেয়াল তৈরি করে খেলেন মোস্তাফিজুর রহমান সুমন। ফলে খেলার ফলাফল অপরিবর্তিত থাকে।
ফাইনাল খেলাটি পরিচালনা করেন অস্ট্রিয়ান রেফারি ফুকস হার্টভিগ (Fuchs Hartwig) খেলা শেষে উদ্যোক্তাদের মধ্যে মামুন হাসান ও তামীম খাঁনের
সন্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটির বিশিষ্ট রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী ও টিভি ওয়ানের অনারারী ডিরেক্টর মাহবুবুল ইসলাম।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ এপেলো চিশতী, সাইফুল কবির, ইমরান সহ আরও অনেকে।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস/ইবিটাইমস