লালমোহনে পুকুরে ভেজা সুপারির পচা দুর্গন্ধে হুমকির মুখে পরিবেশ

বিশেষ প্রতিনিধি: সুপারি দ্বীপ জেলা ভোলার একটি অর্থকরী ফসল। ভোলার লালমোহন উপজেলায় প্রতি বছরই সুপারির বাম্পার ফলন হয় এবং কাঁচা, পাকা, শুকনো এবং ভিজিয়ে বাজারে বিক্রি করা হয়। তবে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই লালমোহনের যত্রতত্র ভেজানো হচ্ছে সুপারি। ভেজানো সুপারি পাকা হাউজে ভেজানো বা মানুষের বসবাস নেই (ছাড়া বাড়ী) এমন পুকুর বা জলাশয়ে ভেজানোর নিয়ম থাকলেও তা মানছেন না এখানকার কিছু ব্যবসায়ীরা। তারা  বাড়ির পুকুর বা রাস্তার পাশের পুকুরে এবং আবাসিক এলাকায় ভেজাচ্ছেন সুপারি। এতে দুর্গন্ধে পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি সৃষ্টি হচ্ছে মশা তৈরীর কারখানা, ধ্বংস হচ্ছে জলজ প্রাণিসহ জীববৈচিত্র। ফলে সেসব এলাকায় মশাবাহিত রোগসহ মানবদেহে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে।

তেমনি লালমোহন উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের আনিছল মিয়ার হাট এলাকার রাস্তার পাশে শামীন মেম্বারের বাড়ির দরজার পুকুরে ভেজানো হয়েছে কয়েক লাখ সুপারি। এর পাশেই রয়েছে মুসলিমিয়া দাখিল মাদ্রাসা। রাস্তার সাথে রয়েছে একটি দোকান। ওই এলাকার বাসিন্ধাগণ, কয়েকজন পথচারী, মুসলেমিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, এই এলাকার প্রভাবশালী ও লালমোহন বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল হক প্রতি বছরই এই পুকুরে সুপারি ভেজান। বছরের প্রায় ৮ মাস এই পুকুরে সুপারি ভেজানো থাকে। ভেজা সুপারির পচা দুর্গন্ধে এই এলাকায় বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। পচা দুর্গন্ধে রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করতে সমস্যা হচ্ছে। মাদ্রাসার পাঠদানে হচ্ছে সমস্যা। সুপারির রং ধরে রাখতে দেয়া হয় বিভিন্ন মেডিসিন। ফলে পানি দূষিত হয়ে জন্মাচ্ছে মশা, এলাকার মানুষের চর্ম রোগসহ দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রোগ।

এলাকাবাসীসহ সকলের দাবী এলাকার পরিবেশ রক্ষার্থে  দ্রুত এই পুকুর থেকে সুপারি অন্যত্র সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিবেন।
জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »