ভোলায় ইলিশা-২ গ্যাস কূপ, শাহবাজপুর গ্যাস ফিল্ড বাপেক্স ও ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে শুক্রবার রাতে ভোলা সার্কিট হাউজে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের সাথে মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমের সাথে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় ভোলা-বরিশাল সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি, ভোলা ডেভেলপমেন্ট ফোরাম বিডিএফ’র সদস্যদের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি এ আশ্বাস দেন। সংগঠনগুলো এ সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টাকে পৃথক পৃথক স্মারকলিপি প্রদান করেন।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণকাজ অত্যন্ত ব্যয় বহুল। তবে কাঁটছাঁট করে এটির ব্যয় কমিয়ে হলেও একটি মাল্টিপল সেতু নির্মাণ করার কাজ চলছে। এ সেতু নির্মাণে সরকারের আগ্রহ রয়েছে। এটা নির্মাণ হলে ভোলা থেকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ নেয়া যাবে। ভোলার সাথে সারাদেশের সংযোগ স্থাপন হবে এবং আধুনিক ইন্টারনেট সুবিধা পাবে জেলাবাসী।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে জেলা শহরে ‘ভোলার গ্যাস আগে ভোলায় তার পরে অন্যত্র’ দেয়ার দাবিতে পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থা নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ওই দাবি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, গৃহাস্থলীতে গ্যাস সংযোগ না দেয়ার সিদ্ধান্তটি জাতীয়। পুনরায় আবাসিক সংযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত হলে ভোলাসহ সারাদেশেই এ সংযোগ দেয়া হবে। এ সময় তিনি ভোলার বিসিক শিল্পনগরীসহ যেকোনো শিল্পকারখানায় গ্যাস সংযোগ দিতে এখানকার সুন্দরবন গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
মোঃ সোয়েব মেজবাহউদ্দিন/ইবিটাইমস