ইবিটাইমস, ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটের সাবেক রেজিস্ট্রার ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১০ জুলাই) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। আসামিদের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন জেকেজি হেলথ কেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফুল চৌধুরী, অফিস স্টাফ আ স ম সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ওরফে হিমু, তানজিনা পাটোয়ারী ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের মালিক জেবুন্নেসা রিমা।
২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। ওই বছরের ২৩ জুন আরিফুল হক চৌধুরীসহ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চিকিৎসা জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রতারণার অভিযোগে এই ঘটনার ২০ দিন পর অর্থাৎ ১২ জুলাই জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ও জেকেজি চেয়ারম্যান সাবরিনা চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট থেকে সাবরিনাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মামলা এজাহারে বলা হয়, আসামি ডা. সাবরিনা চৌধুরী জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসৎ উদ্দেশ্য এবং কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে জেকেজি হেলথ কেয়ার নামক একটি লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পরিচয় ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অন্যান্যদের যোগসাজশে অভিজ্ঞতাহীন, নিবন্ধনবিহীন, ট্রেড লাইসেন্সবিহীন তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর ওভাল গ্রুপের নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারকে কোভিড-১৯-এর নমুনা সংগ্রহের জন্য অনুমতি পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেছেন।
দুদকরে অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, বিনামূল্যে করোনার স্যাম্পল কালেকশনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিয়ে বুথ থেকে স্যাম্পল কালেকশন না করে আসামি ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর নির্দেশে তার অফিসের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে টেস্ট ফি হিসেবে প্রতিটি টেস্টের জন্য আনুমানিক ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা নিয়ে তা যথাযথভাবে পরীক্ষা না করে ১৫ হাজার ৪৬০টি ভুয়া ও জাল রিপোর্ট করেছেন।
আসামিদের নামে দণ্ডবিধির ১৬৮/৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এনএল/আরএন