অস্ট্রিয়ায় ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচনে এবং এই প্রথম কোনও নির্বাচনে দেশে প্রথম স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে দলটি। উল্লেখ্য যে,FPÖ কঠোর অভিবাসন বিরোধী রাজনৈতিক দল।
ভিয়েনা ডেস্কঃ রবিবার (৯ জুন) ব্রেক্সিট পরবর্তী ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম পার্লামেন্ট নির্বাচনে ২৭টি ইইউ সদস্য দেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ইইউর প্রায় ৩৭ কোটির অধিক নাগরিক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ইইউ পার্লামেন্টের জন্য ৭২০জন এমপি নির্বাচিত করবেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য।
অস্ট্রিয়া থেকে ইইউ পার্লামেন্টে যাবেন ১৯ জন সংসদ সদস্য। অস্ট্রিয়ান রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আগামী শরতে অস্ট্রিয়ার জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে
আজকের ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচনকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন। অস্ট্রিয়ার মোট জন সংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ।
অস্ট্রিয়ান সংবাদ সংস্থা এপিএ জানায় সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোট চলে। তবে শতকরা কতো শতাংশ ভোট পড়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায় নি। এপিএ আরও জানায়,ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যেই প্রাথমিক বেসরকারি ঘোষণা করা হলে অস্ট্রিয়ান ফ্রিডম পার্টির (FPÖ) আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করেছে।
এপিএ আরও জানায়,অস্ট্রিয়াতে ইইউ নির্বাচনে জয়ী হওয়া ছাড়াও FPÖ প্রথমবারের মতো দেশে কোনও নির্বাচনে সব দলকে পিছনে ফেলে প্রথম স্থানে এসেছে। প্রাথমিক বেসরকারী ফলাফল অনুযায়ী FPÖ শতকরা ২৭ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথম স্থান, ক্ষমতাসীন ÖVP ২৩.৫ শতাংশ পেয়ে দ্বিতীয় এবং
SPÖ ২৩.০ শতাংশ পেয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। তারপর যথাক্রমে Grünen ১০.৫ শতাংশ, NEOS ১০.৫ শতাংশ, KPÖ ৩ শতাংশ এবং DNA সহ
অন্যান্যরা পেয়েছে শতকরা ২.৫ শতাংশ ভোট।
FPÖ এর প্রধান প্রার্থী হ্যারাল্ড ভিলিমস্কি ইইউ নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণার পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি এপিএ কে এক তাৎক্ষণিক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, “অস্ট্রিয়ানরা আজ ভোটের মাধ্যমে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে,তারা গতানুগতিক রাজনীতির পরিবর্তন চায়। তারা ফ্রিডম পার্টিকে ভোট দিয়ে জয়ী করে পরিবর্তনের আকাঙ্খা ব্যক্ত করেছে।
তিনি আরও বলেন, সাফল্য “অস্ট্রিয়ানদের পাশাপাশি টেকসই, বিশ্বাসযোগ্য এবং ধারাবাহিক কাজের” ফলাফল। ভলিমস্কি বলেন, প্রাথমিক ফলাফলে FPÖ-কে “খুবই ইতিবাচক” করেছে। “আমরা এই ভোটারের আস্থার ভোটকে নম্রভাবে, কৃতজ্ঞতার সাথে এবং সর্বোপরি দায়িত্বের সাথে মোকাবিলা করবো।”
অস্ট্রিয়ার ন্যাশনাল কাউন্সিলের (সংসদ) তৃতীয় প্রেসিডেন্ট নরবার্ট হোফার আশা করছেন, ইইউ নির্বাচনে ফ্রিডম পার্টির ধারা জাতীয় কাউন্সিল নির্বাচনেও অব্যাহত থাকবে। প্রথম ধারার পূর্বাভাসের পর তিনি এপিএ-কে বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত একটি দেশব্যাপী সবচেয়ে শক্তিশালী শক্তি।” অস্ট্রিয়ার জনগণ বিশ্বাসযোগ্যতা এবং পরিবর্তন চায় ব্যাপারটা শরতে দেশের সাধারণ নির্বাচনে অনুভব করা যাবে।”
FPÖ দলের সাধারণ সম্পাদক মাইকেল শ্নেডলিটজ ইইউ নির্বাচনে “প্রতিটি ভোটের জন্য” ORF কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন: “ভোটার ইতিহাস লিখেছেন।” তারা এখন ইউরোপ-ব্যাপী ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে চায় এবং তারপরে “জনসংখ্যার সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা” সন্ধান করতে চায়। শরত্কালে জাতীয় কাউন্সিল নির্বাচনের লক্ষ্যে, স্নেডলিটজ বলেছিলেন: “আজ বন্ধুত্বপূর্ণ খেলা ছিল।” এখন “ধাপে ধাপে” এগিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
সমগ্র ইইউ দেশের পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফল পরবর্তী প্রতিবেদনে পর্যায়ক্রমে ইউরো বাংলা টাইমসের প্রতিবেদন আসবে। তাছাড়াও আরও থাকবে অস্ট্রিয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিক্রিয়া।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস