রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ইন্দোনেশিয়া ও আইওএমের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ

মায়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের, তাদের স্বদেশে দ্রুত প্রত্যাবাসনে, ইন্দোনেশিয়া ও আইওএম-এর প্রতি সহযোগিতার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ

ইবিটাইমস ডেস্কঃ সোমবার (১ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মিশন প্রধান আব্দুসাত্তর ইসোয়েভ, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে পৃথকভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তাদের প্রতি এই আহবান জানান।

বৈঠকে ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার অঙ্গীকার করেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া, উভয় দেশের সাম্প্রতিক জাতীয় নির্বাচনের কথা উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি ইন্দোনেশিয়ায় জাতীয় নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন এবং দেশটির নেতৃত্ব-কে শুভেচ্ছা জানান।

হাছান মাহমুদ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের উচ্চ সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বাংলাদেশে পাম অয়েল শোধনাগার এবং পণ্যের বাজার প্রতিষ্ঠায় ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগকে স্বাগত জানান। বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বৈঠকে হাছান মাহমুদ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের তাদের স্বদেশে দ্রুত প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য ইন্দোনেশিয়া ও আসিয়ানের প্রতি আহবান জানান।

পৃথক সাক্ষাতে, বাংলাদেশের সঙ্গে আইওএমের কার্যক্রমের বিবরণ-সংক্ষেপ তুলে ধরেন সংস্থার মিশন প্রধান আব্দুসাত্তর ইসোয়েভ। এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইওএমকে ধন্যবাদ জানান এবং বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের তাদের স্বদেশে দ্রুত প্রত্যাবাসনে সহায়তা কামনা করেন। তিনি বলেন, তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ।

পাশাপাশি ক্লাইমেট মাইগ্রান্টস বা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে স্থানচ্যুতদের বিষয়ে আইওএমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন হাছান মাহমুদ। এসব বিষয়ে জোর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন আইওএম মিশন প্রধান।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »