অস্ট্রিয়ায় নতুন করে ভারী তুষারপাতে রেল যোগাযোগে বিশৃঙ্খলা

তুষারপাতের কারণে ট্রেন বাতিল বা বিলম্বের কারণে অস্ট্রিয়ান ফেডারেল রেলওয়ে ÖBB এবং প্রাইভেট রেল Westbahn যাত্রীদের ক্রয়কৃত টিকেটের মূল্য ফেরত দিবে

ভিয়েনা ডেস্কঃ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ফেডারেল রাজধানী ভিয়েনা সহ প্রায় সমগ্র অস্ট্রিয়ায় ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ভারী তুষারপাত হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহান্তে শনিবার ভিয়েনা সহ অস্ট্রিয়ার অধিকাংশ সমতল ভূমিতে ভারী তুষারপাত শুরু হয়েছে। সপ্তাহান্তের একদিনের তুষারপাত বিগত দশ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল।

এই রেকর্ড তুষারপাতের পর সোমবার ভোরে ও সকালে রাজধানী ভিয়েনার তাপমাত্রা হিমান্কের নীচে মাইনাস দশ থেকে বারো ডিগ্রিতে নেমে এসেছিল। জিওস্ফিয়ার অস্ট্রিয়ার তথ্যমতে,এই সময় দক্ষিণ এশিয়ার Steiermark রাজ্যের আল্পস পর্বতাঞ্চলে তাপমাত্রা মাইনাস ২০ ডিগ্রির চেয়েও বেশি নীচে নেমে গিয়েছিল।

অবশ্য আজ দ্বিতীয় দফার তুষারপাতের সময় ভিয়েনার তাপমাত্রা মাইনাস ছিল এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকাল পর্যন্ত একই তাপমাত্রা বিরাজমান থাকবে বলে জানিয়ে জিওস্ফিয়ার অস্ট্রিয়া।

এদিকে অস্ট্রিয়ান সংবাদ সংস্থা এপিএ জানিয়েছে, আজ বুধবার ও গত সপ্তাহান্তে ভারী তুষারপাতের ফলে রেল চলাচলে বা সময়সূচীতে ব্যাপক বিলম্ব এবং বাতিল হয়েছে। এই বছর থেকে, ইউরোপের অনেক দেশে রেল যাত্রীরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ট্রেন বাতিল বা বিলম্বের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী নয়। তবে অন্যদিকে অস্ট্রিয়ায় ÖBB এবং Westbahn নিশ্চিত করেছে যে, তারা পূর্বের ন্যায় যথারীতি রিফান্ড ইস্যু অব্যাহত রাখবে।

এজেন্সি ফর প্যাসেঞ্জার অ্যান্ড প্যাসেঞ্জার রাইটস-এর মারিয়া-থেরেশিয়া রোহসলার বুধবার ORF রেডিও স্টেশন Ö1-কে বলেছেন যে, নীতিগতভাবে আপনি এক ঘণ্টার বেশি ট্রেন বিলম্বের জন্য টিকিটের মূল্যের ২৫ শতাংশ এবং দুই ঘণ্টার বেশি সময়ের জন্য ৫০ শতাংশ ফেরত পাবেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটকে পড়া যাত্রী হিসেবে, ট্রেন কোম্পানি কোনো সমাধান না দিলে হোটেল বা ট্যাক্সির জন্য টাকা ফেরত দাবি করা যেতে পারে।

গত জুনের মাঝামাঝি থেকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রেল কোম্পানিগুলিকে আর ট্রেন বাতিল এবং বিলম্বের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না যদি কারণটি ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি হয়। যেসব পরিস্থিতিতে ক্ষতিপূরণের অধিকার প্রযোজ্য নয় তার মধ্যে রয়েছে চরম আবহাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ট্র্যাকে থাকা মানুষ, তারের চুরি, ট্রেনের জরুরি অবস্থা, আইন প্রয়োগকারী ব্যবস্থা এবং নাশকতা বা সন্ত্রাসবাদ প্রভৃতি।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »