ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ মারা গেছেন ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর। তবে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির ভোটার তালিকায় রয়েছে তার নাম। আর সেই নাম রেখেই করা হয়েছে ভোটার তালিকা প্রকাশ। এ নিয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজারের নিকট অভিযোগ দিলেও কোন কর্নপাত না করেই এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঝিনাইদহের শৈলকুপার বাগুটিয়া গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের।
ভোটার তালিকায় দেখা যায়, ৩৫৭ নাম্বার ভোটার গোপালপুর গ্রামের ওসমান আলী মারা যান ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর। তার মৃত্যু সনদ স্বাক্ষরিত হয় একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর।
অভিযোগকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, বাগুটিয়া গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম থাকায় অভিযোগ দেওয়া হয় প্রিজাইডিং কর্মকর্তা উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মতিউর রহমানের নিকট। এডহক কমিটির মেয়াদও রয়েছে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু অভিযোগের পরও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তড়িঘড়ি প্রতিটা পদের বিপরীতে একজন প্রার্থী দেখিয়ে বিনাপ্রতিদ্বন্দীতায় বিজয়ী ঘোষনার মাধ্যমে ত্রæটিপূর্ণ ভোটার তালিকায় কমিটি গঠন করে অনুমোদনের জন্য যশোর বোর্ডে পাঠান।
বাগুটিয়া গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মতিউর রহমান বলেন, ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তির কথা তিনি পরে জানতে পারেন। এটা কোন সমস্যা না। ভোটের মাধ্যমে চার অভিভাবক সদস্য ও একজন নারী অভিভাবক সদস্যের বিপরীতে কোন প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী না থাকায় তিনি কমিটি গঠন করে অনুমোদনের জন্য যশোর বোর্ডে পাঠিয়ে দেন।
ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তি নিয়ে বাগুটিয়া গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনসার আলী জানান, তিনি ভোটার তালিকা প্রনয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। তালিকা যাচাই বাছাই করা হয়। কিন্তু কিভাবে মৃত ব্যক্তি তালিকায় থাকে তা বোধগম্য নয়। তবে যখন ঘটনাটি জানা যায় তিনি প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে সাথে সাথে অবগত করেন। তিনি তালিকা সংশোধন না করেই কমিটি গঠন করেন।
শেখ ইমন/ইবিটাইমস