আজ একদিনেই আক্রান্ত শনাক্ত প্রায় ১৮ হাজার এবং ১২ জনের মৃত্যুবরণ
ব্যুরো চীফ, অস্ট্রিয়াঃ অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় তাদের প্রতিদিনের নিয়মিত করোনার আপডেট বিজ্ঞপ্তি জানিয়েছে আজ বুধবার (৫ অক্টোবর) অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রামিত শনাক্ত হয়েছেন ১৭,৮৮২ জন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন ১২ জন।
আজ রাজধানী ভিয়েনায় নতুন করে করোনায় সংক্রামিত শনাক্ত হয়েছেন ৩,১৪১ জন। অন্যান্য ফেডারেল রাজ্যের মধ্যে OÖ রাজ্যে ৩,৮০৩ জন,
NÖ রাজ্যে ৩,১৭৫ জন,Steiermark রাজ্যে ২,৪৪৯ জন,Tirol রাজ্যে ১,৫৭৯ জন,Salzburg রাজ্যে ১,২৬৪ জন,Kärnten রাজ্যে ১,২৫২ জন,Vorarlberg রাজ্যে ৭০৮ জন এবং Burgenland রাজ্যে ৫১১ জন নতুন করে করোনায় সংক্রামিত শনাক্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫১,৯৫,৪০৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ২০,৭৭৯ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন ৫০,৫০,০৪৬ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১,২৪,৫৮৩ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ৮০ জন এবং হাসপাতালের করোনার সাধারণ বেডে চিকিৎসাধীন আছেন ১,৯০৫ জন।
আজকের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক। আজ মাত্র ১,২৪,০০০ হাজার মানুষের পরীক্ষার মধ্যেই প্রায় ১৮ হাজার পজিটিভ শনাক্ত। কাজেই করোনার পরীক্ষা বাড়াতে সংক্রামিতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অস্ট্রিয়ান সংবাদ সংস্থা এপিএ জানিয়েছে দেশে গত ৭ দিনে প্রতি এক লাখ জনপদে করোনার গড় সংক্রামিতের সংখ্যা শতকরা ৯৮৯,২ শতাংশ। করোনায় নতুন সংক্রমণ বৃদ্ধির সাথে সাথে হাসপাতালের রোগীদের সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে আজ পর্যন্ত আরও ১২২ জন নতুন সংক্রামিত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে যে,গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্ট্রিয়ার হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে শতকরা ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
এপিএ জানান গত বছরও শরতের শুরুতেই এই রকম একটি শক্তিশালী করোনা তরঙ্গ ছিল, যার ফলে ২২ নভেম্বর চতুর্থ অস্ট্রিয়া-ব্যাপী লকডাউন হয়েছিল। তবে করোনার সংখ্যা এখনকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম ছিল। ৫ অক্টোবর ২০২১ সালে করোনার দৈনিক সংক্রমণ লিপিবদ্ধ হয়েছিল ২,৬৭২ জন।
এপিএ আরও জানিয়েছে, অস্ট্রিয়ার করোনার ট্র্যাফিক লাইট কমিশন আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাদের বৈঠকে অস্ট্রিয়ার অনেক অংশকে করোনার সংক্রমণ বিস্তারের অতি ঝুঁকিপূর্ণ লাল জোন ঘোষণা করতে পারে। বর্তমানে অস্ট্রিয়ায় আর কোন হলুদ জোনেও নেই। অধিকাংশ এলাকা এখন লাল বা কমলা জোনে।
কবির আহমেদ /ইবিটাইমস