ঢাকা প্রতিনিধিঃ বরেণ্য সাংবাদিক তোয়াব খান মারা গেছেন। রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তিনি মারা যান ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহহি রাজিউন)। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার কন্যা দেশে আসলে তোয়াব খানের জানাযা হবে ও বনানী কবরস্থানে দাফন হবে বলে জানিয়েছেন তার ছোট ভাই ওবায়দুল কবির। সাংবাদিকতার বাতিঘর হিসেবে খ্যাত এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় গেলেও সে ধাক্কা পুরোপুরি সামলাতে পারনেনি বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান। শনিবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিলো ৮৭ বছর।
তোয়াব খানের জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরার রসুলপুর এ বিখ্যাত খান পরিবারে। মাওলানা আকরাম খাঁ তার মামা। ১৯৫৩ সারে সাপ্তাহিক জনতায় কাজের মধ্য দিয়ে তার সাংবাদিকতা জীবনের সূচনা। ১৯৫৫ সালে কাজ শুরু করেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে তিনি বার্তা সম্পাদক হয়ে ৬৪ সাল পর্যন্ত সংবাদে কাজ করেন। ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি দৈনিক পাকিস্তানে কাজ করেন বার্তা সম্পাদক হিসেবে। দেশ স্বাধীন হলে দৈনিক বাংলায় সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। তোয়াব খান দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকেই উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ সম্পাদক ছিলেন সদ্য প্রকাশ পাওয়া দৈনিক বাংলার।
মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তোয়াব খান। ১৯৭৩ থেকে ৭৫ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তোয়াব খান। ১৯৮০ থেকে ৮৭ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ছিলেন। ১৯৮৭ থেকে ৯১ পর্যন্ত সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ ও তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের প্রেসসচিব ছিলেন তিনি। ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস ইনিস্টিটিউটের মহাপরিচালক।
সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ২০১৬ সালে তোয়াব খানকে একুশে পদক দেয়া হয়।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এমএইচ