ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি জেলার ৪ টি উপজেলায় ১৭৩ টি পূজামন্ডবে এবছর শারদীয় দূগার্ পূজা অনুষ্ঠিত হবার প্রস্তুতি চলছে। তবে এ বছর ২ টি পূজা মন্ডব বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন, পূজা উদযাপন পরিষদের সংশিষ্ট সূত্র । হিন্দু সম্প্রদায় সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুগার্ পূজা উপলক্ষে মন্দিরে মন্দিরে প্রতিমা তৈরীর কাজ করছে প্রতিমা শিল্পীরা । তারা তাদের সহকর্মীদের নিয়ে একটি পর একটির মন্দিরে ছুটছে । দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতির কারনে সার্বজনীন পূজা মন্ডবে খরচ বেড়ে যাবে এবং অন্যদিকে পূজার জন্য চাঁদা আদায়ের পরিমান কমে যেতে পারে।
প্রতিমা শিল্পীরা জানিয়েছে ,প্রতিমা তৈরীর মাটির কমা খড়কুটো সহ উপকরন ও শ্রমিকের মজুরী বৃদ্ধির কারনে তারা মন্দির কমিটি গুলোর কাছে প্রতিমা তৈরীর জন্য বিগত বছরগুলির চেয়ে বাড়তি অর্থ দাবি করবেন । প্রায় সব মন্দিরে প্রতিমার অবয়ব তৈরী করে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মাটির কাজ শেষ চলছে । কোথাও কোথাও মাটির কাজ শেষ করে প্রতিমা রং করার পর্যায় রয়েছে । ঝালকাঠি জেলায় এখন পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকায় এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি । পূজা উদযাপন পরিষদ আশা করছে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের নজরদারী ,পুলিশের ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ,পূজা উদযাপন কমিটির নিরলস প্রচেষ্টা ও সকল শ্রেনীপেশা ও সকল ধর্মের মানুষের সহযোগিতা নিয়ে শান্তিপূর্ন পরিবেশে পূজা উদযাপন সম্ভব হবে ।
ঝালকাঠির প্রতিমা শিল্পী পরাণ পাল জানান ঝালকাঠি শহরে ৫ টি ও জেলার বাইরে ৬ টি সহ এ বছর সে ১১ টি পূজা মন্ডবের প্রতিমা তৈরী করছে। ৪৫ হাজার টাকা থেকে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা করে প্রতিমা তৈরীর জন্য মজুরী নিচ্ছেন। তবে এবছর কোনটির কাছে বাড়তি মজুরী দাবী করবেন।
ঝালকাঠি শহরে কালিবাড়ি মন্দির কমিটির সভাপতি বিপুল চক্রবতী জানান এবছর পূজা আয়োজনে খরচ বেড়েছে এবং সাধারণ মানুষ এই অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে হাত তুলে দান করতে পারবে না । তবে সার্বজনীন ভাবে অর্থ আদায় কম হলে মন্দির কমিটি নিজেরাই খরচ পুশিয়ে নেবেন।
ঝালকাঠি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদে সাধারণ সম্পাদক তরুণ কর্মকার জানান , ঝালকাঠি জেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভালো রয়েছে। এখন পূর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রশাসনের সহযোগিতা ও পূজা উদযাপন কমিটির সেচ্ছাসেবকদের তৎপরতা এবং সকল শ্রেনীর ধর্মের মানুষের সহযোগিতা নিয়ে এবছর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে।
বাধন রায়/ইবিটাইমস