স্পোর্টস ডেস্ক: বিরাট কোহলির দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে জয় দিয়ে এশিয়া কাপের ১৫তম আসর শেষ করলো ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়া ভারত।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের আসরে সুপার ফোরে বৃহস্পতিবার নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারত ১০১ রানে বড়ম হারিয়েছে আফগানিস্তানকে। রান বিবেচনায় যা টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে ভারতীয় ক্রিকেট দলের দ্বিতীয় বড় ব্যবধানের জয়।
এ ম্যাচে ব্যাট হাতে অপরাজিত ১২২ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। ১০২০ দিন পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর কোলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশের বিপক্ষে গোলাপি বলের টেস্টে সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন কোহলি।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। তিন পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজায় ভারত। নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মার পরিবর্তে নেতৃত্ব পান লোকেশ রাহুল। কোহলিকে নিয়ে ইনিংস শুরু করেন রাহুল। পাওয়ার প্লেতে ৫২ রান তুলেন রাহুল-কোহলি।
১১তম ওভারে ৩২ বল খেলে হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান কোহলি। পরের ওভারে ভারতের রান তিন অংক স্পর্শ করে। ঐ ওভারে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৭তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ পান রাহুল। ৩৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পাওয়া রাহুল থামেন ৬২ রানে। ৪১ বল খেলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন তিনি। ৭৬ বল খেলে কোহলির সাথে ১১৯ রান যোগ করেন রাহুল।
রাহুলের বিদায়ের পর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন কোহলি। এতে ৫৩ বলেই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান কোহলি।
পেসার ফরিদ আহমাদের করা ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা দিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা কোহলি নতুন এ মাইলফলক স্পর্শ করতে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
শেষ পর্যন্ত ১২২ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। ভারতের পক্ষে টি-টোয়েন্টি সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের নয়া রেকর্ড গড়েন তিনি। এতে ভেঙ্গে যায় রোহিতের রেকর্ড। ২০১৭ সালে ইন্দোরে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১১৮ রান করেছিলেন রোহিত।
নিজের দানবীয় ইনিংসে ৬১ বল খেলে ১২টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন কোহলি। তার সেঞ্চুরিতে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ২ উইকেটে আফগানদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২১২ রান করে ভারত। আর এবারের এশিয়া কাপে প্রথম সেঞ্চুরি করেন কোহলি। ২১৩ রানের বিশাল টার্গেটে খেলতে নেমে ভারতের পেসার ভুবেনশ^রের সুইংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে আফগানিস্তানের টপ-অর্ডার। সপ্তম ওভারে ২১ রানে ৬ উইকেট হারায় আফগানরা। এরমধ্যে ৫টি উইকেটই ছিলো ভুবেনশ্বর।
টপ-অর্ডারদের ব্যর্থতায় দ্রুত গুটিয়ে যাবার শংকায় পড়লেও, তিন নম্বরে নামা ইব্রাহিম জাদরানের অপরাজিত ৬৪ রানের কল্যানে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১১ রান করে বড় হারের লজ্জা থেকে রক্ষা পায় আফগানিস্তান।
ভারতের ভুবেনশ্বর ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪ রানে নেন ৫ উইকেট। ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ছিলো তার। তবে ভারতের পক্ষে তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগার এটি। সুপার ফোরে ৩ ম্যাচে ১ জয়ে ২ পয়েন্ট পাওয়ায় ফাইনালে উঠতে পারেনি ভারত। অন্য দিকে ৩ ম্যাচে কোন ম্যাচ জিততে না পারায় সুপার ফোর থেকে এশিয়া কাপ শেষ করলো আফগানরা। ২ ম্যাচে ২টিতেই জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে শ্রীলংকা ও পাকিস্তান। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
ডেস্ক/ইবিটাইমস/এমএইচ