প্রেসিডেন্ট পুতিনের মতে,ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে তার দেশ কিছুই হারায়নি বরং তা রাশিয়ার সার্বভৌমত্বকে আর শক্তিশালী করেছে
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) মস্কোতে পূর্ব ব্লকের এক অর্থনৈতিক ফোরামে পুতিন বলেন, রাশিয়ার সব পদক্ষেপই ‘ডনবাসের জনগণকে সাহায্য করার জন্য’ পরিচালিত হয়।”এটি শেষ পর্যন্ত আমাদের দেশকে ভেতর থেকে এবং পররাষ্ট্রনীতিকে শক্তিশালী করে তুলবে,” বলেন পুতিন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা ভয়েস অফ আমেরিকার খবরে বলা হয়েছে গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে। তাাপর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অভিযান বন্ধ করে পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে সামরিক হামলা জোরদার করে। সেখানে রাশিয়াপন্থী যোদ্ধারা ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সাথে লড়াই করে আসছে।
পুতিন জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তির সমালোচনা করে বলেন, বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের মধ্যে ইউক্রেনের শস্যের চালান পুনরায় চালু করা হলেও , রপ্তানি বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলিতে যাচ্ছে না।
চুক্তি বাস্তবায়নের তত্ত্বাবধানকারী জয়েন্ট কো-অর্ডিনেশন সেন্টার জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত ২.২ মেট্রিক টনেরও বেশি শস্য এবং অন্যান্য খাদ্যশস্য প্রায় ১০০ টি জাহাজে করে ইউক্রেনীয় বন্দর ছেড়ে গেছে। গন্তব্যস্থলগুলির মধ্যে রয়েছে ইতালি, তুরস্ক, ইরান, চীন, রোমানিয়া, জিবুতি, জার্মানি এবং লেবানন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক রয়টার্সকে বলেন, এই চুক্তি নিয়ে রাশিয়ার মন্তব্য ‘অপ্রত্যাশিত’ এবং ‘ভিত্তিহীন’।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার ভোরে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডনবাস, উত্তর ইউক্রেনের খারকিভের কাছে এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন ওব্লাস্টে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস