জেলা প্রতিনিধি, ভোলাঃ ভোলার উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের সুরক্ষার জন্য চালু হতে যাচ্ছে গ্লোবাল সিস্টেম অব মোবাইল নেটওয়ার্ক (জিএসএম)।
মৎস্য ও প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
দুর্গোগের সময় সতর্কবার্তা, ঝড়ের পূর্বাভাস এবং আগাম সতর্ক করতে এ নেটওয়ার্টকিং সিস্টেম চালু হতে যাচ্ছে। তবে গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরনকারি জেলেরা এ সুযোগ পাচ্ছেন।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভোলা জোলার সাত উপজেলার ১৬২০ টি সমুদ্রগামি ট্রলারে এ সুবিধা দেয়া হবে। এরমধ্যে সদর উপজেলার ১৭০ টি, দৌলতখান উপজেলার ২৫০ টি, বোরহানউদ্দিন উপজেলার ১০০ টি, তজুমদ্দিন উপজেলার ৩০০ টি, লালমোহন উপজেলার ১৩০ টি,চরফ্যাশন উপজেলার ৪০০ টি এবং মনপুরা উপজেলার ৩০০ টি ট্রলারে নেটওয়ার্ক সুবিধা দেয়া হবে। সম্প্রতি চরফ্যাশনেরর বেশকিছু ট্রলারে এ সুবিধা হয়েছে। খুব শিগগির অন্য উপজেলায় এ করর্যক্রম শুরু হবে।
জানা গেছে, ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্যোগের মৌসুম। এ সময়কে নৌ পথ উত্তাল থাকায় জন্য ডেঞ্জার জোন বা বিপজ্জনক মৌসুম হিসাবে চিহ্নিত করেছে সমুদ্র অধিদপ্তর। প্রতি বছরই এ মৌসুমে ঝড়-জলোচ্ছাস, সাগরে গভীর নিম্নচাপসহ প্রকৃতিক দুর্যোগ বয়ে যায়। অনেক সময় দুর্যোগের সময় সতর্কবার্তা পৌছায় না জেলেদের কাছে। যে কারনে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও জেলেরা নদী বা সমুদ্রে মিছ শিকারে যান। তখন ঝড়ের কবলে পড়ে তাদেন প্রান হারাতে হয়। তাই উপকূলের সমুদ্রগামী জেলেদের সুরক্ষা এবং সতর্কবার্তা পৌছাতে জিএসএম সিস্টেম চালুর উদাযোগ নেয় মৎস্য ও প্রানী অধিদপ্তর।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, জিএসএম সিস্টেম হলে আমরা জেলেদের পূর্বাভাস জানাতে পারবে এবং তাদের অবস্থান নির্নয় করতে পারবো। এতে জেলেরা দুর্যোগের সময় নিরাপদে অবস্থান করতে পারবে।
উল্লেখ্য, জেলায় সমুদ্রগামি নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬৫ হাজার এবং মেঘনা-তেঁতুলিয়ার এক লাখ ৪৮ হাজার জেলে রয়েছে। এর বাইরে আরও ২ লাখ জেলে সাগর ও নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
মনজুর রহমান/ইবিটাইমস