পিরোজপুরে মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর; গ্রেপ্তার -৪

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট;পিরোজপুর: পিরোজপুরে মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কাথুলিয়া গ্রামে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের সার্বজনীন শ্রী শ্রী শীতলা মন্দিরের প্রতিমা সোমবার (০১ আগষ্ট) দুর্বৃত্তরা ভাংচুর করে। এ ঘটানর সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে থানা পুলিশ ৪ জন তরুনকে গ্রেপ্তার করেছেন বলে পিরোজপুর সদর থানার ওসি আ. জা. ম মাসুদুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো জেলার সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের লখাকাঠী গ্রামের বাহাদুর শেখের পুত্র শুভ শেখ (১৭) , উপজেলার কলাখালী ইউনিয়নের
পথেরহাট এলাকার দুলাল বেপারীর পুত্র আবু বক্কর ছিদ্দিকী (১৮), একই ইউনিয়নের গজালিয়া উদয়কাঠী গ্রামের হায়দার মোল্লার পুত্র রমজান (১৩)মোল্লা  এবং উপজেলার হুলারহাট গুচ্ছ গ্রামের এমাদুল শেখের পুত্র হাসান শেখ (১৭) ।

কাথুলিয়া সার্বজনিন শ্রী শ্রী শীতলা মন্দিরের সেবাইত কালা চাঁদ মন্ডল জানান, সোমবার (০১ আগষ্ট) বেলা ১১ টার দিকে মন্দিরের পূর্জা-আর্জনা শেষ করে তিনি মন্দিরে থেকে চলে যান। এ সময়  মন্দিরের কাছে গিয়ে তিনি দেখতে পান মন্দিরের প্রতিমাটি   হাত পা ও মাথা ভাংচুর করা হয়েছে।

এ সময় তিনি স্থানীয়দের জানালে তারা তাকে জানান, গতকাল রবিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে অপরিচিত ৩/৪ জন ছেলেকে  স্থানীয় এক মহিলা ঘুরতে দেখেছেন। কিন্তু তারা স্থানীয় নয়। পরে এলাকায় লোকজন আজ দুপুরে এদের মধ্যে শুভ শেখ, আবু বক্কর ছিদ্দিকী ও হাসান শেখ তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আটককৃত তিনজন জানান, তারা তিন জন সহ রমজান নামের একজন মন্দিরের প্রতিমা ভেঙ্গেছে। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে এবং পরে রমজানকেও গ্রেপ্তার করেন।

পিরোজপুর সদর থানার  অফিসার ইন চার্জ (ওসি)  আ. জ. ম. মাসুদুজ্জামান জানান, মন্দিরের প্রতিমা ভাঙ্গার খবর পেয়েই জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্ডার খাইরুল ইসলাম সহ আমি  ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪  শিশু ও কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের  প্রক্রিয়া চলছে।

এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবিটাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »