নাজিরপুরে দুই সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মধ্যে মারামারি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট; পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুরে যুব উন্নয়ন অফিসের সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. হালিম শেখ (৫৫) ও একই অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর এসএম হেমায়েত উদ্দিনের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে উভয়েই আহত হয়েছেন। আহতদের একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও অন্যজন পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার  (২৭জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে  ওই অফিসের সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কক্ষে।

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা যাদব চন্দ্র রায় ওই মারামারির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি নিজেদের মধ্যে হয়েছে। তাই উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) স্যারের মাধ্যমে মীমাংসা করা হবে। তিনি আরো জানান, হামলায় আহত অফিস সহকারী  কাম কম্পিউটার অপারেটর এসএম হেমায়েত  উদ্দিন মাদারীপুর জেলার শিবচরে চাকুরী করেন। তিনি  এখানে ডেপুটেশনে আছেন। আর হালিম শেখ এখানের   উপজেলা  সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার  দায়িত্ব পালন করছেন।

আহত অফিস সহকারী হেমায়েত উদ্দিন জানান, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ  তাই এখানে ডেপুটেশনে কাজ করেন। কিন্তু অফিসের কিছু লোক তাকে নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকতাদের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ দেন। গতকাল অফিসে গেলে সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হালিম হোসেন  তাকে নিয়ে কটুক্তি করেন। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে  হালিম হোসেন  তাকে কাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।

তবে উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো, হালিম হোসেন জানান, অফিস সহকারী হেমায়েত হোসেন  প্রায়ই অফিসে আসেন না। এ নিয়ে কেহ তার বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে নালিশ করেছেন। এ ঘটনায় তিনি গতকাল অফিসে এসে বিভিন্নভাবে গালাগালি করেন। এর প্রতিবাদ করায় তিনি প্রথমে আমার (হালিম) উপর অতর্কিত হামলা করেন। এতে আমি রক্তাক্ত হলে আত্মরক্ষার্থের তাকে একটি স্কেল দিয়ে আঘাত করেছি।

প্রত্যক্ষ দর্শী ওই অফিসের সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দুলাল কৃষ্ণ শিকদার জানান, আমি এ সময় ওই কক্ষেই কাজ করছিলাম। হঠাৎ দু’জনে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে একে অপরের উপর হামলা করে। পরে উভয়কে থামিয়ে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার জীনাত জামান জানান, আহত হালিম হোসেনকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার নাকের ভিতর ফেটে গেছে। আর হেমায়েত উদ্দিনের নাকের  ভিতর ফেটে যাওয়া সহ তার কপাল ও মাথায় কেটে গেছে। তবে হেমায়েত  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ আল সাদীদ জানান, ঘটনাটি শুনে সাথে সাথে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
ভর্তি করা হয়েছে।

এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবিটাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »