চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাসন জনতা বাজার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ইউনুস শরীফের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় বক্তারা অধ্যক্ষ ইউনুস শরীফের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, দূর্নীতি, লুটপাট ও কলেজের নামকরণ পরিবর্তনের নামে ১৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ তুলেছেন। আগামী ৭ দিনের মধ্যে অধ্যক্ষের পদ থেকে অপসারণ না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
১৪ জুলাই বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিতে কলেজ ক্যাম্পাসে এই মানববন্ধন এবং জনতা বাজার সদর রোডে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এনামুল আহসান আশিব, কলেজ শিক্ষক প্রতিনিধি প্রভাষক মো. নুরনবীসহ শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী, কলেজ ছাত্রলীগ ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষক প্রতিনিধি প্রভাষক মো. নুরনবী বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে নীতিমালা না মেনে নিয়মবহির্ভূত এ কলেজের নামকরণ করা হয় জনতা বাজার শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজ। ২০১০ সালে নাম পরিবর্তনের জন্য নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ লক্ষ টাকা জমা দিয়ে নামকরণ করা হয় জনতা বাজার ডিগ্রী কলেজ। তবে বিএনপিপন্থী অধ্যক্ষ ইউনুস শরীফ কিছুদিন পর সে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। কলেজ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের হিসাব বিবরণীতে উক্ত টাকা খরচের কোন ভাউচার নেই। এমপিও নীতিমালার সকল শর্ত পূরণ করেও অধ্যক্ষের এমন নাম পরিবর্তনের দুর্নীতির কারণে ডিগ্রীর কোঠা এমপিওভুক্ত হয়নি বলে জানান এমপিও বঞ্চিত শিক্ষকবৃন্দ।
কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সৌরভ বলেন, অধ্যক্ষ ইউনুস শরীফের দুর্নীতি ও খামখেয়ালির কারণে উক্ত কলেজটি ডিগ্রী স্তরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নথিভূক্ত হওয়ার পরেও প্রকাশিত এমপিওতে নাম আসেনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এমপিও বঞ্চিত শিক্ষক এবং অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। তবে টাকা আত্মসাতের কথা অস্বীকার করে এ বিষয়টি ভুলবশত হয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ ইউনুস শরীফ।
ভোলা/ইবিটাইমস