লালমোহন প্রতিনিধি: লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আকতার হোসেনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারই সহধর্মিণী রেহানা বেগম লাইজু।
শুক্রবার কালমা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা নির্বাচন অফিসার সৈয়দ শফিকুল হক, লালমোহন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও কালমা এবং রামগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আমীর খসরু গাজী, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ, ওসি (তদন্ত) এনায়েত হোসেনসহ আরও অনেকে।
এতে চেয়ারম্যান পদে রেহানা বেগম লাইজু পেয়েছেন আনারস প্রতীক। এর আগে আকতার হোসেনের ভাইও তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দেন। পরে তা প্রত্যাহার করে নেন তিনি।
এদিকে স্ত্রী ছাড়াও নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী লোকমান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীকে রয়েছেন উপজেলা শ্রমিকলীগ থেকে সদ্য বহিস্কৃত সভাপতি জাকির হোসেন পঞ্চায়েত।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হওয়ায় গতকাল (২৬ মে) জাকির হোসেন পঞ্চায়েতসহ রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার করে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
তবে নৌকার প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এখনও মাঠে রয়েছেন তারই সহধর্মিণী। নৌকার স্থানীয় সমর্থকদের প্রশ্ন, নৌকার গলার কাঁটা সরাতে বিদ্রোহীদের কে দলীয়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে সিদ্ধান্ত কে সাধুবাদ। নৌকার বিজয় সুনিশ্চিতের লক্ষে দল তাদের কঠোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছেন, কিন্তু ঘরের বিদ্রোহীর বেলায় কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে?
সাধারণ ভোটাররা বলছেন, ঘরের ইদুর বাণ কাটলে, ঘর টিকানো দায় হয়ে পরবে। তাই আগামী ১৫জুন ভোটগ্রহণ পরবর্তী কে হাসবে শেষ হাসি, সেটা দেখার অপেক্ষায় কালমা ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের।
ভোলা/ইবিটাইমস