বেসরকারি কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে অনিবন্ধিত চিকিৎসক দ্বারা কার্যক্রম চালালে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বাংলাদেশ ডেস্কঃ গতকাল বুধবার (২৫ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ), সিভিল সার্জন (সকল) ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদেরকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে,অপারেশন করার সময় এনেস্থিসিয়া প্রদান ও ওটি এসিস্ট করার ক্ষেত্রে নিবন্ধিত চিকিৎসক ছাড়া অন্যদের রাখা হলে সে সকল প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার সমূহ বন্ধ করতে হবে। অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার সমূহের বিরুদ্ধে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে সমন্বয় করতে হবে।
‘যে সকল প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন গ্রহণ করেছে কিন্তু নবায়ন করেনি। তাদের নিবন্ধন নবায়নের জন্য একটি সময়সীমা প্রদান করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নবায়ন গ্রহণ না করলে সে সকল প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।’
এখানে উল্লেখ্য যে,বিগত কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশে চিকিৎস খাতে ব্যাপক দুর্নীতি,প্রতারণা, ভূয়া ডাক্তার সহ নানান অনিয়মের অভিযোগ প্রকাশিত
হয়ে আসছে দেশের বিভিন্ন জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে।
গতকাল বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি গুলো ক্রমানুসারে নিম্নরুপঃ
১. আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ করতে হবে। অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।
২. যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন গ্রহণ করেছে কিন্তু নবায়ন করেনি, তাদের নিবন্ধন নবায়নের জন্য একটি সময়সীমা দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নবায়ন না করলে সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
৩. বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অপারেশন করার সময় এনেস্থেসিয়া দেওয়া ও ওটি অ্যাসিস্ট করার ক্ষেত্রে নিবন্ধিত ডাক্তার ছাড়া অন্যদের রাখা হলে সেসব প্রতিষ্ঠান ও জড়িতদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. যেসব প্রতিষ্ঠান নতুন নিবন্ধনের আবেদন করেছে তাদের লাইসেন্স দেওয়ার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে হবে। লাইসেন্স পাওয়ার আগে এসব প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
উল্লেখ্য, যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী দেশে অনুমোদিত ও আবেদন করা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস