আজ শুক্রবার থেকে ভিয়েনা প্রশাসন পাবলিক বারবিকিউ এলাকায় বারবিকিউ(গ্রিল) করার নিষেধাজ্ঞার অবসানের ঘোষণা দিয়েছে
ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ান সংবাদ সংস্থা এপিএ জানিয়েছে, আজ শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) থেকে ভিয়েনার পাবলিক বারবিকিউ এলাকায় এবং বনের কাছাকাছি এলাকায় বারবিকিউর উপর নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটানো হয়েছে। উল্লেখ্য যে,বাতাসের কারনে বন আগুন লাগার ঝুঁকি বাড়ার কারণে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
ভিয়েনা শহর থেকে স্থানীয় একটি সম্প্রচারে বলা হয়েছে, “এখন থেকে, ভিয়েনার পাবলিক বারবিকিউ এলাকায় আবার বারবিকিউ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।” যাইহোক, ভিয়েনা শহরের বনায়ন এবং কৃষি উদ্যোগ বিভাগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার পর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে যে, ভিয়েনার শহরের নির্ধারিত বারবিকিউ এলাকা এবং বারবিকিউ অঞ্চলের প্রশাসনের বারবিকিউ নিয়মগুলি যাথাযথভাবে বিবেচনা ও পালন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ভিয়েনা প্রশাসন থেকে আরও বলা হয়েছে, বারবিকিউ শেষ করার পর কয়লার অঙ্গার এবং ছাই “আগুন প্রতিরোধের জন্য ভিয়েনা সিটি কর্পোরেশনের দেওয়া রক্ষিত কংক্রিটের পাত্রে নিষ্পত্তি করতে বা ফেলতে হবে”।
এখানে উল্লেখ্য যে,বিশেষ করে স্কুলের গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময় জুলাই আগস্ট মাসে অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আঞ্চলিক সংগঠন ভিয়েনার শহরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত দানিউব (Donau) নদীর তীরে বারবিকিউ বা গ্রিল পার্টি করে থাকেন।এই বারবিকিউ অনুষ্ঠানে অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশেষ করে যারা ভিয়েনায় বসবাস করেন, তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্ব-পরিবারে এই বারবিকিউ বা গ্রিল পার্টিতে অংশগ্রহণ করে থাকেন।
এদিকে আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রামিত শনাক্ত হয়েছেন ৯,৭৯০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৩১ জন। রাজধানী ভিয়েনায় আজ নতুন করে করোনায় সংক্রামিত শনাক্ত হয়েছেন ২,৬৬৮ জন।
অন্যান্য ফেডারেল রাজ্যের মধ্যে NÖ রাজ্যে ২,৩৯৬ জন,OÖ রাজ্যে ১,৫১২ জন,Steiermark রাজ্যে ১,১৬৭ জন,Tirol রাজ্যে ৪৭৪ জন,Kärnten রাজ্যে ৪০৮ জন,Salzburg রাজ্যে ৪০৬ জন,Vorarlberg রাজ্যে ৪০২ জন এবং Burgenland রাজ্যে ৩৫৭ জন নতুন করে করোনায় সংক্রামিত শনাক্ত হয়েছেন।
অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী আজ সমগ্র অস্ট্রিয়ায় করোনার প্রতিষেধক টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১৪৫ জন এবং করোনার প্রতিষেধক টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ২,৮৭৮ জন।
অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪০,৩৬,৮১৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১৬,৩৯০ জন।করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন মোট ৩৮,৭৩,৪৯০ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১,৪৬,৯৩৩ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ১৭৪ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২,০৮৬ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস