অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা ও কয়েকটি প্রধান শহরের আজকের ইফতার ও আগামীকালের সেহরির শেষ সময়

ইউরোপ ডেস্কঃ আজ শনিবার ৯ এপ্রিল অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ৮ম রোজার ইফতারের সময় : ১৯:৩৬মিনিট। (Ifter in Vienna at 19:36 p.m)

আগামীকাল রোববার ১০ এপ্রিল ভিয়েনায় ১০ম রোজার সেহরির শেষ সময় : রাত ৪:৪৬ মিনিট।

ভিয়েনার সাথে অস্ট্রিয়ার অন্যান্য কয়েকটি ফেডারেল রাজ্যের প্রধান শহরের সময়ের পার্থক্য নিম্নে উল্লেখ করা হল,

* Innsbruck (Tirol) + 20 Min.

* Salzburg + 13 Min.

* Villach (Kärnten) + 10 Min.

* Linz (OÖ) + 08 Min.

*Klagenfurt (Kärnten) + 08 Min.

* Graz (Steiermark) + 4 Min.

* St. Pölten (NÖ) + 3 Min.

আল্লাহর নবী ও রাসূল মুহাম্মদ সা: এর অন্যতম একটি বড় মোজেজা বা অলৌকিক ঘটনা হল তিনি কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ না করেও তাঁর উপর মানব ইতিহাসের সবচেয়ে জ্ঞান ভান্ডার সমৃদ্ধ আল কোরআন অবতীর্ণের ঘটনা।

ইসলামের ইতিহাস থেকে জানা যায়,যে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর প্রধান ফেরেশতা হযরত জিবরাঈল আঃ যখন কোরআনের আয়াত বা সূরা নিয়ে আসতেন আল্লাহর হুকুমে লাওহে মাহফুজ থেকে,তখন রাসূল মুহাম্মদ সাঃ তা মুখস্থ করে নিতেন। তারপর তিনি আল্লাহর বাণী বা ওহী লেখক সাহাবী রাঃ গণ তা পাথরে,পশুর চামড়া ইত্যাদিতে লিখে রাখতেন এবং সাথে সাথে ওহী লেখক সাহাবী রাঃ গণ সহ অন্যান্য সাহাবী রাঃ গণও মুখস্থ করে নিতেন। পরবর্তীতে ইসলামের খলিফা হযরত ওসমান রাঃ সমস্ত আয়াত ও সূরা একত্রিত করে বর্তমান কোরআনের আকারে উপস্থাপন করেন। সম্ভবত হযরত ওসমান রাঃ এর সেই কোরআন শরীফের ৩ টি অরিজিনাল কপির একটি সৌদি আরবে,বৃটেনে ও তুরস্কে সংরক্ষিত আছে।

স্বয়ং মহান আল্লাহতায়ালা রাসূল মুহাম্মদ সাঃ এর শিক্ষাগত যোগ্যতার ব্যাপারে কোরআনে বলেন, “তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রাসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।” [সূরা আল জুম‘আহ,আয়াত: ২]

মানব সভ্যতার ইতিহাসে একমাত্র কোরআন শরীফই সেই গ্রন্থ বা বই যা সবচেয়ে বেশী পঠিত হয়।আল কোরআন আসলে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য একটি সম্পূর্ণ সংবিধান।এই সংবিধানটি সৃষ্টিকর্তা এমনভাবে প্রণয়ন করেছেন যা, বিভিন্ন শতাব্দীর পর শতাব্দী সমস্ত মানবজাতির জন্য উপযোগী।

আল কোরআন যখন অবতীর্ণ হয়,তখন সেখানকার মানুষেরা ছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য চরিত্রের অধিকারী। পরবর্তীতে তারা ধীরে ধীরে কোরআনের সংবিধান অর্থাৎ আল্লাহর কথামত জীবন পরিচালনা মানব ইতিহাসের সর্ব শ্রেষ্ঠ জাতিতে রুপান্তরিত হয়েছিলেন। আজ পর্যন্ত ইসলাম ব্যতীত আর কোন মতবাদ পৃথিবীতে এরকম সাফল্য দেখাতে পারে নি।

আল কোরআনের পূর্বে পৃথিবীতে অজস্র ধর্ম গ্রন্থ ও মতবাদ এসেছিল মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে কিন্ত সেগুলো তাদের অরিজিনালটি ধরে রাখতে পারে নি।বিভিন্ন মানুষের হাত বদল হয়ে তা অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে গেছে।

আল্লাহ পবিত্র কোরআনের অবিকৃতির গ্যারান্টি দিয়ে বলেন, “আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ (কোরআন) অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।” [সূরা আল হিজর, আয়াত: ৯]

কথিত আছে,সিরিয়ার এক ইহুদী পন্ডিত আল্লাহর এই গ্যারান্টিকে পরীক্ষা করার জন্য এক অভিনব ফন্দি আটেন।তিনি তৎকালীন প্রচলিত বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ কিছুটা বিকৃত করে (নিজের মত করে লিখে) বিভিন্ন ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করে বেশ প্রশংসিত হন। পরবর্তী তিনি ইসলাম ধর্মের ধর্ম গ্রন্থ আল কোরআন অনুরূপ পরিবর্তন করে তৎকালীন ইসলামের হাফেজ সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করলে,তাঁরা তা তৎক্ষণাত নকল বা জাল বলে প্রত্যাখ্যান করেন। পরে সেই ইহুদী পন্ডিত কোরআনকে মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ গ্রন্থ বলে স্বীকৃতি দিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং মৃত্যুবরণ পর্যন্ত কোরআনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে গেছেন।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »