ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বৈশ্বিক সভ্যতার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করতেই হবে। পৃথিবীতে ভবিষ্যতে কাগজের বই বলেও কিছু থাকবে না। ডিজিটাল যুগ এড়িয়ে যাওয়ার মানে হবে নিজেকে পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা। মন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে দক্ষতা তৈরিতে শিক্ষক-অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রামে শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল এন্ড কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ইন্টারনেটকে পৃথিবীর বৃহৎ লাইব্রেরী আখ্যায়িত করে বলেন, জ্ঞানার্জনে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ডিজিটাল যন্ত্র অপরিহার্য। ডিজিটাল যুগের বাস্তবতায় শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ভাণ্ডার থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার সুযোগ নাই। তাদের হাতে মোবাইল ও ইন্টারনেট না পৌঁছানোর অর্থ হচ্ছে তাদেরকে পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা। তাদের অনলাইন ও অফ লাইনে শিক্ষা প্রদানের বিকল্প নেই ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‘র দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ফলে কোভিডকালেও দেশের প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষার্থীরাও পিছিয়ে থাকেনি উল্লেখ করে শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের অগ্রনায়ক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উচ্চগতির অপটিক্যাল ফাইভার সংযোগের আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এসওএফ তহবিলের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৫৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওয়াইফাই জোনের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়াও দেশের দুর্গম অঞ্চলের ৬শত ৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাগজ –কলম ছাড়া ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদানের প্রকল্প বাস্তয়ন চলছে।
মন্ত্রী নবীন শিক্ষাথীদেরকে মা, মাটি ও মাতৃভাষা এই তিনটি বিষয়ে আপস না করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আজকের শিক্ষাথীরাই ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার সৈনিক। তিনি বাবা মায়ের পর শিক্ষকদের মর্যাদা প্রদানের নৈতিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, শিক্ষককে যে মর্যাদা দেয়নি তারা শক্ত হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েও শেখ হাসিনার শিক্ষকের জন্য নিজের আসনটি ছেড়ে দেওয়া কিংবা রাষ্ট্রীয় প্রটোকলের বাইরেও নিজ শিক্ষককে সাথে নিয়ে লাল-গালিচা দিয়ে হেঁটে যাওয়াসহ বেশ কিছু দৃষ্টান্ত মন্ত্রী এসময় তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম তার বক্তৃতায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা বিস্তারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিবা/ইবিটাইমস/এমএন