বাংলাদেশ ডেস্কঃ কেরানীগঞ্জ থেকে অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর (৪০) বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে তার লাশ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সালাম মিয়া গণমাধ্যমের কাছে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ থেকে রাইমা ইসলাম শিমুর নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে নায়িকা সাদিয়া মির্জা গণমাধ্যমে বলেন, কেরানীগঞ্জ থানার ওসি জানিয়েছেন শিমু আপার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। শিমু আপা রোববার সকাল ১০টা থেকে সোমবার পর্যন্ত নিখোঁজ ছিলেন।
২০২০ সালে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু জানিয়েছিলেন, ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ১৮ থেকে ২২টি সিনেমায় অভিনয় করেন।
চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্বামী নোবেল ও গাড়িচালক ফরহাদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় একটি প্রাইভেট কারও জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কেরানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ থানা সূত্র জানিয়েছে সোমবার সকালে হযরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকা থেকে শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ টুকরা করে ওই দুই বস্তায় ভরে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছিল। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বস্তার ভেতর থেকে খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়।
সোমবার রাতে শিমুর বড় ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।
স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর গ্রিনরোড এলাকার বাসায় থাকতেন ৪০ বছর বয়সী শিমু। রোববার সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার এই হত্যাকাণ্ড পারিবারিক না চলচ্চিত্র জগতের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে সংগঠিত হয়েছে পুলিশের তদন্তে শীঘ্রই বের হয়ে আসবে বলে সকলের আশা।
কবির আহমেদ/ ইবিটাইমস