ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট;পিরোজপুর: পিরোজপুরে নাদিম খান নামের এক যুবলীগ কর্মী কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এসএম বায়েজিদ হোসেন ও কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শিহাব হোসেন সহ ৩২ জনকে নামীয় এবং কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (১৪ জানুয়ারী) রাতে আহত নাদিম খানের ফুফু তামান্না বেগম স্বামী রিপন খান বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, হামলাকারীরা যুবলীগ কর্মী নাদিম খানকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করে এবং তার শরীরে আরও ১৭/১৮টি ধারলো
অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয় হয়। আহত যুবলীগ কর্মী নাদিম খান (৩৫) সদর উপজেলার তেজদাসকাঠী এলাকার নজরুল ইসলাম খানের পুত্র ও এ সময় আহত অপর আহত মাসুদ শেখ (২৫) উত্তর কদমতলা এলাকার আব্দুর রহিম শেখ এর পুত্র। তারা উভয়েই ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক হানিফ খান গ্রুপের কর্মী।
পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের অপিসার ইন চার্জ (ওসি) আ.জ.ম মাসুদুজ্জামান জানান, যুবলীগ কর্মীর হাতের কব্জী কাটার ঘটনায় আসামীদের গ্রেফতারের
চেষ্টা করছেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শিহাব হোসেন ও সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক হানিফ খানের গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের বিরোধের জেরে যুবলীগ কর্মী নাদিমকে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আহত নাদিম বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবিটাইমস