ঢাকা: মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের স্কুল ও কলেজে উপস্থিত হতে হলে, অবশ্যই অন্তত প্রথম ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিতে হবে।
মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী এরমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন যে, ভ্যাকসিন গ্রহণ ছাড়া কেউ স্কুলে আসতে পারবে না। গত ৩ জানুয়ারি এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং আজ বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই মন্ত্রিসভা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এবং মন্ত্রীপরিষদ সদস্য ও সংশ্লিষ্টরা বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে এতে যোগ নেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, স্কুল ও কলেজে উপস্থিত থাকতে হলে, ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের অন্তত প্রথম ডোজ কোভিড-১৯ টিকা নিতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে ভ্যাকসিন গ্রহণ করে সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্বুদ্ধকরণ প্রচারণা চালাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গ্রামাঞ্চলেও পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকে পূর্ব-নির্ধারিত এজেন্ডা ছাড়াও কিভাবে কোভিডের নতুন ধরণ ওমিক্রম মোকাবিলা করতে হবে, সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, রেস্তোরাঁয় খেতে, ট্রেন ও বিমানে ভ্রমণ করতে এবং বিপণী বিতান ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা পরিদর্শনের পাশাপাশি অন্যান্য জনসমাগম স্থানগুলোতে কোভিড-১৯ এর সনদ দেখাতে হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় কারিগরি কমিটির মতামত অনুযায়ী একটি সুনির্দিষ্ট সময়ের পর এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। ওমিক্রন মোকাবিলায় অন্যান্য সিদ্ধান্তের ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাড়ির বাইরে বেরুতে হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সীমিত করার পাশাপাশি মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা সেখানে বাধ্যতামূলক। তিনি বলেন, যদি কোভিড-১৯ পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়, তাহলে গণপরিবহনগুলোতে তাদের ক্ষমতার ৫০ শতাংশ যাত্রী বহন করতে হবে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি অবশ্য বলেন, মহামারী পরিস্থিতির অবনতির ক্ষেত্রে লকডাউন আরোপের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এমএইচ