ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট;পিরোজপুর: পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে এইচএসসি’র রসায়ন দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা দিয়েছে মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী।
দীর্ঘদিন দিন দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সার রোগে ভোগার পর শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে মারা যান মোস্তাফিজুরের মা লায়লা জেসমিন মুন্নী (৪০)। মায়ের মৃতদেহের পাশে বার বার মূর্চ্ছা যাচ্ছিল এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান।
মায়ের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতেই শোককে শক্তিতে পরিনত করে রবিবার বার (১২ডিসেম্বর) পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়েছে সে। সে আমান উল্লাহ মহাবিদ্যালয় থেকে এবারের এইচ.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নয়াখালী মাটিভাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও গৌরীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের নিবাসী
মরহুম বিপ্লব আকন এর স্ত্রী লায়লা জেসমিন মুন্নী দীর্ঘদিন দিন দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সার রোগে ভুছিলেন।উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছিলেন তিনি। ছেলের পরীক্ষা শেষে হওয়ার পরই তার ভারতে যাওয়ার কথা ছিল।কিন্তু সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।তাঁর এই মৃত্যুর খবরে পরিবারের সদস্যদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
খবর পেয়ে আমান উল্লাহ মহা বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত হয়ে শোকাহত মোস্তাফিজুর কে সান্ত্বনা দেন।সকালে তারা তাকে পরীক্ষা হলে নিয়ে যান।
আমান উল্লাহ মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক মাকসুদুর রহমান জানান, মোস্তাফিজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ
নিচ্ছে। শনিবার রাতে তার মায়ের মৃত্যু হয়।মায়ের লাশ বাড়িতে রেখেই সে রবিবার পরীক্ষায় অংশ নেয়।
এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবিটাইমস