ঝালকাঠিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ও সমাবেশ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ১৯৭১ সালের এর এই দিনে পাকহানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় ঝালকাঠি।

দিবসটি উপলক্ষে বুধববার সকাল ১১ টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাচুর্য়ালি বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভাচুর্য়ালি বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগরের সভাপতি কমরেড বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, নলছিটি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্ত রঞ্জন দত্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ এমএ বায়েজিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মুজিবুর রহমান।

মুক্তিযুদ্ধাকালীন সময়ে স্থানীয়ভাবে সংঘটিত বিভিন্ন যুদ্ধের এবং রাজাকার বাহিনীকে নিয়ে পাক হানাদার বাহিনী যেসব নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তার স্মৃতিচারণ করেন বক্তারা। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নামে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সংগঠন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এদিকে ঝালকাঠি মুক্ত দিবস উপলক্ষে বুধবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রা বের করে মুক্তিযোদ্ধারা। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশ করেন তঁারা। এতে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলা পাকহানাদার মুক্ত হয়।

মুক্তিযোদ্ধারা জানান, একদিকে পাকবাহিনীদের রশি দিয়ে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে, অন্যদিকে দলে দলে গ্রামবাংলার মানুষ রাস্তায় নেমে জয় বাংলার স্লোগান দেন। মুক্তির সাদ পায় ঝালকাঠিবাসী।

বাধন রায়/ইবিটাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »