কামরুজ্জামান ভূঁইয়া ডালিম,গ্রিস প্রতিনিধিঃ প্রাচীন সভ্যতার দেশ গ্রিক। সমগ্র পৃথিবীতে হাজারো ভাষা আছে তারমধ্যে প্রাচীনতম ভাষা এবং বর্ণমালা হল গ্রিক বর্ণমালা আলফাবেট। দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করোনাভাইরাসের এ ভ্যারিয়েন্টটির নাম দেওয়া হয়েছে গ্রিক বর্ণমালার পঞ্চদশ অক্ষরের নামে। এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) চলতি বছরের মে মাসে নামকরণের এই পদ্ধতি ঘোষণা করে।
সংস্থাটি ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে গণযোগাযোগ সহজ হয়েছে ও বিভ্রান্তি কমেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ভারতে করোনাভাইরাসের যে ভ্যারিয়েন্টটি প্রথম শনাক্ত হয়ছে, সেই বি.১.৬১৭.২ ধরনটি পেয়েছে গ্রিক বর্ণমালার চতুর্থ বর্ণ ডেল্টার নামে।
ডব্লিউএইচওর তথ্য অনুযায়ী, এখন সাতটি ‘মনোযোগ সৃষ্টিকারী ভ্যারিয়েন্ট’ বা ‘উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট’ আছে, এর প্রত্যেকটির জন্যই একটি গ্রিক বর্ণ বরাদ্দ করা হয়েছে। গ্রিক বর্ণ দিয়ে চিহ্নিত আরও কয়েকটি ভ্যারিয়েন্ট থাকলেও সেগুলো ‘উদ্বেগজনক ধরনের’ স্তরে পৌঁছেনি, তাই সেগুলো নিয়ে আলোচনাও হয়েছে কম। আর ডব্লিউইএচও ওমিক্রণের ঠিক আগে ‘নিউ’ ও ‘শি’ বর্ণ দুটি এড়িয়ে গেছে।
শনিবার ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র তারিক জাহারেভিক বলেন, “‘নিউ’ খুব সহজে ইংরেজি শব্দ ‘নিউ’ এর সঙ্গে বিভ্রান্তি তৈরি করবে আর ‘শি’ ব্যবহার করা হয়নি কারণ এটি প্রচলিত নামের শেষাংশ।” তিনি জানান, সংস্থাটি রোগের নামকরণের ক্ষেত্রে ‘কোনো সংস্কৃতিক, সামাজিক, জাতীয়, আঞ্চলিক, পেশাদার বা জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যেতে পারে’ এমন নাম এড়িয়ে যাওয়াকে শ্রেয় মনে করে। ডব্লিউএইচও বলেছে, ভ্যারিয়েন্টগুলোর বৈজ্ঞানিক নামের চেয়ে এই নামকরণ পদ্ধতি সহজ ও বোধগম্য, বৈজ্ঞানিক নামগুলো ‘বলা ও মনে রাখা কঠিন হতে পারে এবং প্রতিবেদনগুলোতে প্রায়ই ভুলভাবে আসে। অথবা সে দেশের নাম অনুযায়ী যদি কোন নাম রাখা হতো যেমন চীন থেকে উৎপত্তিস্থল হুয়াং , ভারত-আমেরিকা সাউথ আফ্রিকা তখন সে দেশের জাতিগোষ্ঠী এবং দেশের একটা ভাবমূর্তি নিম্ন চোখে দেখা হতো তাই অনু বিজ্ঞানীরা গ্রিক বর্ণমালা বেছে নিয়েছেন।
গ্রিস/ইবিটাইমস/এম আর