ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট; পিরোজপুর: পিরোজপুরের কাউখালীতে ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের প্রার্থীর
কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৯ জন আহত হয়েছেন।আহতদের মধ্যে ২ জনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২০ নভেম্বর) রাতে উপজেলার চিরাপাড়া পাড়সাতুরিয়া ইউনিয়নে।
জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ খান খোকন ও জাতীয় পার্টি (জেপি, মঞ্জু) সমর্থিত সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বজলুর রহমান নান্নুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
এতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বড় ভাই মওদুদ খান (৫০), নৌকা প্রতীকের কর্মী চিড়াপাড়া গ্রামের ফরহাদ হোসেন (২৪), এনায়েত হোসেন (৪৫), মামুন মোড়ল (৪০), দক্ষিন নিলতি গ্রামের মিন্টু তালুকদার (৩৫), সুবিতপুর গ্রামের বেলায়েত শিকদার (৩৭), মাঈনুল ইসলাম হাওলাদর (৩০) এ ৭ জন আহত হয়েছেন।গুরুতর আহত মওদুদ খান ও মিন্টু তালুকদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল প্রেরন করা হয়েছে।
এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় সাইকেল প্রতীকের কর্মী সেকেন্দার খান (৬০) ও সুমন খান (২০) আহত হন। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
ওই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ খান খোকন জানান, ‘ও্ই দিন রাত সাড়ে ৭টার দিকে আমরা চিড়াপাড়া দলীয় কার্যালয়ে বসে কর্মীদের সাথে কথা বছিলাম।
এ সময় সাইকেল প্রতীক ও নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থীরা মিলে পরিকল্পিতভাবে ১৪-১৫টি মটর সাইকেলে করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে অফিসে থাকা প্রধান মন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙ্গচুর করে।
এসময় কর্মীরা বাধা দিলে তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বজলুর রহমান নান্নু জানান, ‘ওই দিন সন্ধ্যায় আমার কয়েকজন কর্মী কাউখালী উপজেলা সদরে থাকা আমার বাসা থেকে ফিরছিলেন।
এ সময় চিরাপাড়া টেম্পু স্ট্যান্ডের কাছে পৌঁছলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও তার কর্মীরা আমার ওই সব কর্মীদের উপর হামলা চালায়।এর আগে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সহ তার কর্মীরা আমার কর্মীদের বিভিন্নভাবে হুমকী দিয়ে আসছে।এর ধারাবাহিকতায় তারা আমার কর্মীদের উপর হামলা করে ও আমাকে লাঞ্চিত করে’।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার পার্থ মিস্ত্রী জানান, গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
কাউখালী থানার অফিসার (ওসি) মো. বনি আমিন ওই হামলা ও সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে।কোন পক্ষের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি।অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ওই ইউনিয়নে আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবিটাইমস