ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট; পিরোজপুর: পিরোজপুরে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গুলি বিনিময় ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (০৭ নভেম্বর) রাতে জেলার সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের মল্লিক বাড়ি ষ্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।এতে পিরোজপুর পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ফয়সাল মাহাবুব শুভ গুলিবিদ্ধ সহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সদর উপজেলা আ’লীগ সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন স্বপন মল্লিক এবং আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আ’লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা ওলামা লীগের সাধারন সম্পাদক আনারশ প্রতীকের মাওলানা মো. নাছির উদ্দিন মাতুব্বরের কর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
এ সময় হামলায় নৌকা প্রতীকের স্বপন মল্লিকের পক্ষের পিরোজুপর পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ফয়সাল মাহাবুব শুভ ও মেহেদী হাসান
শিকদার এবং আনারশ প্রতীকের নাছির উদ্দিন মাতুব্বরের পক্ষের শংকরপাশা গ্রামের মো. জাহাঙ্গির মাতুব্বর (৫২), মো. মফিজুর রহমান মাতুব্বর (৫৪), বায়েজিদ খান নিলয় (২৪), মনির মাতুব্বর (৪৫), মোরর্শেদ খান এ ৫জন আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে মোরর্শেদ ছাড়া সকলের অবস্থা সংকটাপন্ন।তাদের জেলার নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও সেখান থেকে উন্নত
চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই রাতে পৌর শহরে আ’লীগের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।হামলায় আহত আনারশ প্রতীকের কর্মী মনির হোসেন জানান, ওই রাতে তারা (আনারশ প্রতীক) শংকর পাশায় থাকা তাদের নির্বাচনী কার্যালয়ে বসা ছিলেন।এ সময় ওই ইউনিয়নের নৌকার পক্ষে প্রচারনায় আসা লোকজন আমাদের (আনারশ) নির্বাচনী কার্যালয়ে ডুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।
তিনি আরো জানান, হামলাকারীরা সকলেই পৌর শহর থেকে আসা বহিরাগত লোকজন।তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী স্বপন মল্লিকের দাবী তার পক্ষে প্রচারনা শেষে ফেরার পথে মল্লিকবাড়ি স্ট্যান্ডের রাস্তায় বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ নাসির উদ্দিন মাতুব্বরের লোকজন তার কর্মীদের উপর গুলি চালায় ।এতে পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়সাল মাহাবুব শুভ সহ তার দুই কর্মী আহত হয়েছেন।আহতদের উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
পিরোজপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: রানা সাহা জানান, আহতদের প্রাথমিক চি কিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা পাঠানো হয়েছে।
এ দিকে আহত মনির হোসেন জানান, তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেও তাদের চিকিৎসা নিতে জেলা হাসপাতালে যেতে বাঁধা দেয়া হয়।তাই তারা নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জানান, আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা প্রেরন করা হয়েছে।
পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) আ.জ.ম মাসুদুজ্জামান সেখানে গুলি বিনিময়ের খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, কে বা কারা গুলি বিনিময় করেছে তার কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায় নি।এ ঘটনায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এইচ এম লাহেল মাহহমুদ/ইবিটাইমস