ঢাকাঃ বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো সারা দেশে পরিবহণ ধর্মঘট পালন করছেন মালিক-শ্রমিকেরা। এর ফলে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। যাত্রীরা জেলা ও বিভাগীয় শহর থেকে যেমন রাজধানীতে আসতে পারছেন না, তেমনি রাজধানী থেকেও তাঁরা ঢাকার বাইরে যেতে পারছেন না।
এদিকে, রাজধানী ঢাকায় সকাল থেকে যাত্রীবাহী বাস নেই।
তবে, সড়কে বিআরটিসি’র কিছু বাস চলতে দেখা গেছে। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় গন্তব্যে পৌঁছাতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, লেগুনায় করে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন তাঁরা।
রাজধানীর রাস্তায় বহুধরনের পরিবহন চলাচল করায় যানজটের ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এরজন্য অপরিকল্পিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকেও দায়ী করেছেন তারা।
এদিকে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় লঞ্চের ভাড়া শতভাগ বাড়ানোর দাবিতে এবার ধর্মঘট শুরু করেছেন লঞ্চ মালিকরা।
এর আগে শুক্রবার প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করার প্রতিবাদে পল্টন কার্যালয়ে বৈঠক করেন লঞ্চ মালিকরা। বৈঠকে বাস ও ট্রাক ধর্মঘট শুরু হলেও লঞ্চ চলাচল অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেন তারা। শনিবারের মধ্যে ভাড়া বাড়ানো না হলে তারাও ধর্মঘটের পক্ষে মত দেন।
লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়ে সরকারকে চিঠি দিয়েছিলাম। এতে শতভাগ ভাড়া বাড়ানোর কথা জানিয়েছি। শনিবার এ বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিলো। কিন্তু আমাদের দাবি না মানায় লঞ্চ মালিকরা ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ঢাকা/ইবিটাইমস/আরএন