শেখ ইমন, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা দেশে শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ফলে সকাল থেকে ঝিনাইদহের সব রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ বিভিন্ন মালামাল ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে দূরপাল্লার যাত্রীসহ স্থানীয় যাত্রীরাও দুর্ভোগে পড়েন। জ্বালানি তেলের বর্ধিত এ দাম না কমানো পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলেও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে শহরের বাসটার্মিনাল, আরাপপুর, বাইপাস সড়ক, চুয়াডাঙ্গা স্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, ছেড়ে যায়নি দুরপাল্লা ও স্থানীয় রুটের কোন জ্বালানী তেলবাহী যানবাহন। এমনকি পরিবহনের টিকিট কাউন্টারগুলো বন্ধ।এদিকে শহরের বিভিন্ন বাস স্টান্ডে সকাল থেকেই ভীড় দেখা গেছে ঢাকা, কুষ্টিয়া, খুলনা, ফরিদপুর সহ বিভিন্ন গন্তব্যগামী যাত্রীদের। অনেককে দেখা গেছে পায়ে হেটে কিংবা ব্যাটারি চালিক ইজি বাইকে করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে।
রুহিনী কুমার রায় জানান চিকিৎসার জন্য এক আত্মীয়কে নিয়ে যশোর যাবেন তিনি। কিন্তু এসে শুনতে পান বাস ধর্মঘটের কথা। এখন কোথায় যাবেন, কী করবেন কিছুই সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না তিনি। একইভাবে অপেক্ষা করছেন আরও অনেকে।
দুপুরে বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিলেন সাফিয়া বেগম। তিনি বলেন, অসুস্থ ভাইকে দেখতে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছি। স্ট্যান্ডে এসে শুনি বাস চলাচল বন্ধ। এখন ব্যাগ আর দুই বাচ্চাকে নিয়ে বিপদে পড়েছি।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা মারুফ হোসেন জানান, ঝিনাইদহে আত্নীয় বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম কয়েকদিন আগে। এখন ঢাকায় ফিরে যাওয়ার জন্য বাস টার্মিনালে এসেছি। কয়েক ঘন্টা যাবৎ ঘুরে বেড়াচ্ছি, কিন্তু কোন বাস পাচ্ছি না। হঠাৎ করে টার্মিনালে এসে সকালেই শুনলাম বাস ধর্মঘট চলছে। এখন কি করে ঢাকায় ফিরবো বুঝতে পারছি না।
মিরাজ নামের অপর এক ব্যক্তি জানান, ঢাকাতে একটি স্কুলের ভ্যান চালায়। কালকের মধ্য পৌছাতে হবে। কিন্তু কোন বাহন পাচ্ছি না। এমনকি টিকিট কাউন্টারগুলো বন্ধ রয়েছে। এভাবে ধর্মঘট চল্লে দুর্ভোগের শেষ থাকবে না। অবশ্যই সরকার ও সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষে উচিৎ যাত্রীদের দিকে তাকিয়ে হলেও ধর্মঘট নিরসন করা।
ঝিনাইদহ জেলা বাস-মিনিবাস পরিচালনা কমিটির সভাপতি রোকনুজ্জামান রানু জানান, ডিজেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। কিন্তু সরকার এখনও দাম কমানোর বিষয়ে আমাদের সাথে কোন কথা বলেনি। তাই দাম না কমা পর্যন্ত এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
ঝিনাইদহ/ইবিটাইমস