শৈলকুপা হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ব,নাকাল রোগীরা

শেখ ইমন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগের বেশ ধরে সরকারী হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী পাঠাচ্ছে একদল দালাল চক্র। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় বসবাস প্রায় ৪ লক্ষ মানুষের। যাদের জন্য রয়েছে ১টি সরকারী হাসপাতাল। কিন্তু দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে রোগীদের প্রতিনিয়িত পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনেরা দালালের দৌরাত্ম্যে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মূল ফটক থেকে ভেতরের ওয়ার্ড পর্যন্ত পুরো হাসপাতাল জুড়ে দালালদের অবাধ বিচরণ ও আধিপত্য বলে অভিযোগ রোগী ও স্বজনদের।হাসপাতাল থেকে ভুলিয়ে -ভালিয়ে রোগী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন নামসর্বস্ব ক্লিনিকে।যেখানে গিয়ে প্রতিনিয়ত রোগীর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সহ মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। এমন চিত্র দেখা গেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

সূত্র জানায়, হাসপাতালটিতে কর্মরত সালমান ওরফে জামাইদুল, তরিকুল ইসলাম,সোহাগ সহ প্রায় ৫-৬ জন হাসপাতালের ইমারজেন্সী থেকে রোগী ভাগিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠায়। রোগীদের ম্যানেজ করতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে তারা। গ্রামের অশিক্ষিত বা স্বল্পশিক্ষিত লোকদের ম্যানেজ করে বিভিন্ন অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিকে পাঠায় এবং সেখান থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন পায় দালাল চক্র।দীর্ঘদিন ধরে এরা রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। এছাড়াও হাসপাতালে কোন সিজারীয়ান রোগী আসলে ইওসি’তে থাকা খালেদা,রুপিয়া,মাজেদা,চায়না সহ বেশ কয়েকজন মহিলা দালাল তাদেরকে বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে নিয়ে যায় ক্লিনিকে।

রোগী ও স্বজনেরা বলেন, দালালেরা প্রথমে নিজেদের হাসপাতালের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন।পরে হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার কথা বলে রোগী ও স্বজনদের উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিকে ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। রোগীদের হাসপাতালের যন্ত্রপাতি অচল ও নিম্নমানের বলে রোগীদের ক্লিনিক ও ডায়াগনোষ্টিকে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা রাশেদ আল মামুনের ব্যত্তিগত ফোনে নাম্বারে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।

ঝিনাইদহ/ইবিটাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »