এসডিজি অর্জনে ভূমিকা রাখবে রূপপুর প্রকল্প

ঢাকাঃ দক্ষ জনবল তৈরির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম হলে এসডিজি অর্জনে ভূমিকা রাখবে রূপপুর পারমানিবক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

মঙ্গলবার রাজধানীতে টেকসই উন্নয়ন ও রূপপুর পারমানবিক প্রকল্প বিষয়ক সেমিনারে একথা বলেন বক্তারা।

দীর্ঘমেয়াদে কম খরচে বিদ্যুৎ তৈরিতে সক্ষম রুপপুর। বক্তারা বলেন, যে কোনো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রাথমিক বিনিয়োগ বেশি কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এর উৎপাদন খরচ কম। তারা বলেন, “যেকোনো দেশের জন্য টেকসই উন্নয়ন (SDG) এর লক্ষ্য অর্জনে মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রুপপুর প্রকল্প সম্পন্ন হলে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ও ব্যহারের সময়র দুটিই বৃদ্ধি পাবে। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসারে, রূপপুর এনপিপি সারা দেশে ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি পরিবারের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করবে।

সেমিনারে এএসই -এর যোগাযোগ বিভাগের বিশেষজ্ঞ গনচারোভা নাটালিয়া “ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে টেকসই উন্নয়ন” বিষয়ক একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পারমানবিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এর কারন প্রকৌশলীদের জ্ঞান ও দক্ষতা চর্চার সুযোগ হয়েছে। এমনকি যিগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তির প্রসাঢ় ও ব্যবহার বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রোসাটমের অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের প্রধান বিশেষজ্ঞ ফোকিন কনস্টান্টিনতার উপস্থাপনায় বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পারমানবিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে রোসাটম। এরজন্য দক্ষ জনবল তৈরি করছে তারা। সজযোগি দেশগুলোার সাথেও এ বিষয়ে চুক্তি রয়েছে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশ এই চুক্তির আওতায় প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার্থীর গড়ে তোলার সুযোগ পেছেছে বলেও সেমিনারে জানান কনস্টানটিন।

সেমিনারে পরমানু কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, বাংলাদেশের জন্য রূপপুর একটি মাইলফলক। কিন্তু সামনে দক্ষ প্রকৌশলী তৈরির একটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তার মতে, রিঅ্যাক্টর পরিচালনায় ঝুঁকি রয়েছে। ফুয়েল রড বদল ও পর্যবেক্ষনে দক্ষতা কৈরি করতে হবে। তিনি প্রতিটি রিঅ্যাক্টরের জন্য পাঁচশ প্রকৌশলী দরকার হবে। তাদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে এখনই পদক্ষেপ নিকে হবে বাংলাদেশকে।

রুপপুর প্রকল্পে ১৪৮ টি রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান ও ২২ টি সংস্থার বিশ হাজারের বেশি কর্মী কাজ করছে। প্রকল্পের কাজ যত এগোবে এর সংখ্যা তত বাড়বে। এছাড়া এ প্রকল্পে আইইএ এর নজরদারিও রয়েছে।

Rosatom State Corporation, Bangladesh Atomic Energy Commission এবং Atomstroyexport (ASE) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

নভো থিয়েটারের মহাপরিচালক আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক ড. অশোক কুমার পাল, সদস্য বায়ো-সায়েন্স, বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশন এবং নিনা ডিমেন্টসোভা, যোগাযোগ বিভাগের প্রধান, এএসই সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা/ইবিটাইমস/আরএন

EuroBanglaTimes

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »