পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে মাদ্রাসা ছাত্র আরাফাত হোসেনকে (৮) হত্যার অভিযোগে আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের কাশিপুর আল ইয়াসিন শিশুসদন হাফিজিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জিকিরউল্লাহ (৪৫) ও তাঁর ছোট ভাই কাওছারকে (৪০) এবং আরো তিন থেকে চার জনের বিরুদ্ধে আগামী তিন দিনের মধ্যে বাউফল থানাকে এজাহার গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছে পটুয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জামাল হোসেন এই আদেশ দেন।মামলার আইনজীবী এ্যাডঃ মোঃ আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, বাউফলের শিশু আরাফাত (৮) হত্যা মামলায় মৃতের পিতাঃ মোঃ হাসান প্যাদার দায়ের কৃত মামলাটি সরাসরি বাউফল থানা কতৃপক্ষকে এজাহার রুজুর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাউফল থানা কে তিন দিনের মধ্যে কেন এই সংক্রান্ত বিষয়ে কোন অপমৃত্যু মামলা গ্রহণ করা হয়নি সে জন্য কারন দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, আরাফাত আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের কাশিপুর আল ইয়াসিন শিশুসদন হাফিজিয়া মাদ্রাসার নজরানা বিভাগের ছাত্র ছিল। ৮–৯ মাস আগে মাদ্রাসায় আরাফাতকে ভর্তি করা হয়।পড়া মুখস্থ না হওয়ায় ২২ আগস্ট বেলা দুইটার দিকে মামলার বাদী মো. হাসান প্যাদা তাঁর একমাত্র ছেলে আরাফাতকে ধরে দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দিয়ে গুরুতর আহত করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জিকিরউল্লাহ। এতে আরাফাতের মাথার হাড় ভেঙে যায় ও ডান চোখে গুরুতর জখম হয়। কিন্তু বিষয়টি তাঁদের না জানিয়ে জিকিরউল্লাহ তাঁর ছোট ভাই মো. কাওছারের মাধ্যমে আরাফাতকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। অবস্থা ভালো না দেখে পরের দিন সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে মুঠোফোনে হাসান প্যাদাকে কল করে আরাফাতের অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।পরে মামলার বাদী হাসান প্যাদা তিনি মাদ্রাসায় গিয়ে আরাফাতকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। অসুস্থ আরাফাতকে উদ্ধার করে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৪ আগস্ট তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিনই রাত ৯টার দিকে আরাফাত মারা যায়।
ময়নাতদন্ত শেষে ২৫ আগস্ট রাত ১১টার দিকে আরাফাতের লাশ বাউফলের গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। ২৬ আগস্ট সকালে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
আব্দুস সালাম আরিফ/ ইবিটাইমস /এম আর