সালাম আরিফ, পটুয়াখালী: যোগাযোগের নয় সেতু এখন ভোগান্তির। পটুয়াখালী-বরিশাল মহা-সড়কের লাউকাঠী সেতুর লাইট পোস্ট গুলোতে লাইট না থাকায় এবং পায়ে হাটার পথের স্লাব ভাঙ্গা থাকায় চলাচলকারী মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে স্থানীয়রা সড়ক ও জনপথ বিভাগকে একাধিকবার অবহিত করলেও কোন প্রতিকার মেলেনি।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে লাউকাঠী নদী। এর একপাশে জেলা শহর অপর পাশে সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন। দৈনন্দিন কাজে লাউকাঠী, ইটবাড়িয়া ও বদরপুর ইউনিয়নের মানুষকে পায়ে হেটে সেতু পারাপার করতে দেখা যায়। এ ছাড়া প্রতিদিন এই পথ দিয়েই পটুয়াখালী এবং কুয়াকাটার সাথে দেশের বিভিন্ন জেলার যানবাহনগুলো চলাচল করে।
ব্রীজটির নির্মাণে স্থানীয়দের যোগাযোগ সমস্যার সমাধান হলেও ভোগান্তি কমেনি। ব্রীজের লাইট পোস্টগুলোতে লাইট না থাকায় দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়ে চলাচল করে যানবাহনগুলো। পাশাপাশি ব্রীজের পায়ে হাটার পথের কংক্রিট স্লাব গুলো ভাঙ্গা থাকায় মাঝে মধ্যেই ঘটে দূর্ঘটনা। এ ছাড়া রাতে পুরো ব্রীজে এক ভুতুরে পরিবেশ তৈরী হয়, আড্ডায় বসায় বখাটেরা।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, বিভিন্ন সময় ব্রীজে আলোর ব্যবস্থা করলেও রাতের আধারে লাইট এবং তার চুরি হয়ে যাওয়ায় সমস্যার তৈরী হচ্ছে। তবে কিভাবে সমস্যা সমাধান করা যায় সে বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তারা উদ্যোগ নিবেন।
শুধু লাউকাঠী সেতু নয়, পটুয়াখালী-কুয়াকাটা সড়কের শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল সেতুতেও রাতে চলাচল করার জন্য কোন আলোর ব্যবস্থা নেই।
পটুয়াখালী/ইবিটাইমস/আরএন