ঢাকা:শনিবার থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। দেশের ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়ন, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভা ও ১২টি সিটি কর্পোরেশনের ৪৩৩টি ওয়ার্ডে করোনার টিকা দেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম এসব কথা জানান।
ক্যাম্পেইন কার্যক্রমে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারী এবং ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবেন। মহাপরিচালক জানান, ৭ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মূলত ২৫ বছরের বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে পঞ্চাশোর্ধ জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
ক্যাম্পেইন কার্যক্রমের আওতায় ৭ অগাস্ট দেশের সব ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। ইউনিয়নের যেসব ওয়ার্ডে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কারণে ৭ আগস্ট করোনার টিকা দেয়া সম্ভব হবে না এবং পৌরসভার কোনো ওয়ার্ডে ৭ আগস্ট টিকা দেয়া সম্ভব হবে না, এসব জায়গায় ৮ ও ৯ আগস্ট টিকা দেয়া হবে। তবে ৭ থেকে ৯ অগাস্ট এই তিনদিন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভ্যাকসিনেশন চলবে। ৮ ও ৯ অগাস্ট দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় টিকা দেয়া হবে। আর ১০ থেকে ১২ অগাস্ট ৫৫ বছরের বেশি বয়সী বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাঝে টিকাদান কার্যক্রম চলবে।
যাদের রেজিষ্ট্রেশন রয়েছে তারা টিকা গ্রহনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন বলেও জানান খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, এখন যাদেরকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে তাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করার পরই কার্যক্রমন শুরু হচ্ছে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এমএইচ