আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট রোধে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে চলমান লকডাউন আরও চার সপ্তাহ বাড়িয়েছে দেশটির সরকার। এর আগে করোনা রোধে সিডনিতে পাঁচ সপ্তাহের লকডাউন দেওয়া হয়, যা শেষ হবে ৩০ জুলাই। নতুন ঘোষিত বিধি-নিষেধ চলবে আগামী ২৮ আগস্ট পর্যন্ত।
অস্ট্রেলিয়ার বন্দরনগরী সিডনি থেকে এবিসি সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছেন করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোধে অস্ট্রেলিয়ার শহর সিডনিতে আরও চার সপ্তাহের লকডাউন জারি করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লকডাউনের বিধিনিষেধ আরও কঠোরভাবে পালন করা হবে বলে জানিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৮ আগস্ট পর্যন্ত শহরের ৫০ লাখ বাসিন্দাকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবর বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সিডনিতে নতুন করে পুনরায় ১৭৭ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর আগেরদিন সোমবার ১৭২ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়। মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক নয় এমন নিয়ম জারির পর যা সর্বোচ্চ। যার কারণে নতুন করে শহরজুড়ে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শংকা সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশ প্রধান গ্ল্যাইডস বেরেজিকলিয়ান বলেন, আমি দুখিত ও হতাশ। এই মুহুর্তে এসে আমাদের সংক্রমণের সংখ্যাটি কম থাকার কথা ছিলো। কিন্তু আসলে তা হয়নি। এটাই বাস্তবতা। এখন আমাদের যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে এবং আমরা তাই করছি। বুধবার (২৮ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘করোনার ডেলটা ধরন ছড়িয়ে পড়ার পর গত জুনের শেষ দিকে সিডনিতে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। পরে তা কয়েক ধাপে বাড়ানো হয়। চলমান লকডাউন আগামী শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। এদিকে সংক্রমণের হার কমে আসার কারণে আজ বুধবার থেকে ভিক্টোরিয়া রাজ্য ও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে ২৪ জুলাই সিডনি শহরে হাজার হাজার মানুষ লকডাউন তুলে দেয়ার দাবিতে মাঠে নামেন। মেলবোর্ন ও ব্রিসবনেও বিক্ষোভ সংগঠিত হয়। এ সময় বিক্ষোভ থেকে ৫৭ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়। এসময় তারা লকডাউন বিরোধী প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন ও স্লোগান দেন। অস্ট্রেলিয়ায় করোনা শনাক্তের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৪৭৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর মৃত্যু হয়েছে ৯২২ জনের। দেশটিতে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা হচ্ছে মূলত টিকাদানের ঘাটতিকে। দেশটিতে করোনার টিকা পেয়েছেন মাত্র ১৬ শতাংশ মানুষ। এ নিয়ে তুমুল বিতর্কের মুখে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার ।
কবির আহমেদ /ইবিটাইমস