চট্টগ্রাম: লঘুচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম নগরী ও আশপাশের এলাকায় টানা চারদিন ধরে অবিরাম বর্ষণ হচ্ছে। এর ফলে চট্টগ্রাম নগরীর কয়েকস্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরের কয়েকস্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। পাহাড়ধসের কারণে চলাচলে তৈরি হয় প্রতিবন্ধকতা। পাহাড়ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে গত দুইদিনে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে শতাধিক পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
অবিরাম বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও, সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বৃষ্টির মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে নগরের গরিবউল্লাহ শাহ মাজার এলাকায় আমান উল্লাহ হাউজিংয়ে পাহাড় ধসে পড়ে। এ ছাড়া সকালে আমবাগান এতিমখানা পাহাড় এবং বায়েজিদ সংযোগ সড়কেও পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে বলেন, নগরের লালখান বাজার এলাকার গরিবুল্লাহ শাহ এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ হতাহত হয়নি। তবে একটু দূরে ৫টি পরিবার ছিল। পাহাড়ধসের মাটি রাস্তায় পড়ায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
এদিকে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। নগরীর চকবাজার, কাপাসগোলা, রাহাত্তারপুল, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, চাক্তাই, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, প্রবর্তক মোড়, আগ্রাবাদের এক্সেস রোড, মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল এবং হালিশহরের নিচু এলাকায় রাস্তায় পানি জমে যায়।
লকডাউনের কারণে গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কর্মস্থলে যেতে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। রিকশাচালকরা বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে ইচ্ছামত ভাড়া দাবি করেন। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি মাথায় নিয়েই লোকজনকে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। রাস্তায় পানি জমে থাকায় পথচারীদের বেগ পেতে হয়।
নগরের চান্দগাও আবাসিক, সিডিএ, কর্ণফুলী, হালিশহর, আগ্রাবাদসহ বেশ কিছু এলাকা বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘুরে হাঁটু থেকে কোমর পানি দেখা গেছে। এতে এসব এলাকায় জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এমএইচ