ইউরোপ ডেস্কঃ বৃটেনে করোনায় আক্রান্ত ৭০,০০০ হাজার রোগীর উপর এক গবেষণায় এ তথ্য বেড়িয়ে এসেছে বলে জানিয়েছে মেডিকেল জার্নাল “ল্যানসেট”।
করোনার প্রথম প্রাদুর্ভাবের চেয়ে বর্তমানে করোনার পরিবর্তিত রূপ বা বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের জন্য আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রতি দ্বিতীয় করোনার হাসপাতালের রোগী অতিরিক্ত জটিলতায় ভুগছে। জটিলতার মধ্যে কিডনির সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। এটি ছিল বৃটেনর প্রায় ৭০,০০০ হাজার করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের নিয়ে একটি গবেষণার ফলাফল।
প্রতি দ্বিতীয় কোভিড-১৯ এর দ্বারা আক্রান্ত রোগী যাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় তাদের বর্তমানে বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাসের ফলে অতিরিক্ত জটিলতা দেখা দিতে দেখা যাচ্ছে। সর্বাধিক রোগী করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তির পর কিডনি জটিলতায় ভুগতে দেখা যাচ্ছে। ৭০,০০০ হাজার রোগী নিয়ে গ্রেট ব্রিটেনের এই বিষয়ে বৃহত্তম পর্যবেক্ষণের সমীক্ষার ফলাফল, যা মেডিকেল জার্নাল “ল্যানসেট” এ প্রকাশিত হয়েছে।
লন্ডন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মেডিকেল জার্নাল “ল্যানসেট” আরও জানান বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত অল্প বয়সীদের মধ্যেও এই জটিলতা দেখা যাচ্ছে। করোনার প্রাদুর্ভাবের প্রথমদিকে এই জাতীয় সমস্যা শুধুমাত্র বয়স্ক মানুষের মধ্যেই দেখা যেত।
ইংল্যান্ডের লিভারপুলের Calum Semple বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার সহ-লেখকদের বৈজ্ঞানিক গবেষণার এই স্কেলটিতে কোভিড -১৯ জটিলতার প্রথম পদ্ধতিগত সমীক্ষা এবং বিশ্লেষণের প্রতিনিধিত্ব করে। Semple বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে,”গবেষণাটি বার বার উদীয়মান মতামতের বিরোধিতা করে যে কোভিড -১৯ শুধুমাত্র বিপজ্জনক অতিরিক্ত অন্তর্নিহিত রোগগুলি এবং বয়স্কদের জন্যই শুধুমাত্র বিপজ্জনক নয় অধিকিন্তু হাসপাতালে ভর্তি কম বয়সী করোনায় আক্রান্তদের মধ্যেও এখন এই সমস্ত জটিলতা দেখা দিচ্ছে।”
গবেষকদের বিশ্লেষণ অনুসারে ৭৩,১৯৭ জন কোভিড-১৯ এর দ্বারা আক্রান্ত রোগী যারা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তাদের মধ্যে ৩৬,৩৬৭ জন অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। এদের মধ্যে ১৯ থেকে ২৯ বছর বয়সী শতকরা ২৭ শতাংশ এবং ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী শতকরা ৩৭ শতাংশ। ১৯ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মানুষ শতকরা ৩৯ শতাংশ,৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এটি ছিল শতকরা ৫১ শতাংশ। জটিলতার হারে ৬০ থেকে ৬৯ বছর বয়সীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল শতকরা ৫৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ছিল শতকরা ৩২ শতাংশ। গবেষকদের দল জানিয়েছেন এই গবেষণাটি বৃটেনে করা হলেও এটি বিশ্বের সব জায়গাতেই একই রকম হতে পারে বলে জানিয়েছেন।
আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন ৩৪১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ জন। রাজধানী ভিয়েনায় আজ নতুন করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন ১০৮ জন। অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে OÖ রাজ্যে ৫০ জন, NÖ রাজ্যে ৪৪ জন, Steiermark রাজ্যে ৪১ জন, Salzburg রাজ্যে ৩৭ জন, Tirol রাজ্যে ৩৩ জন, Kärnten রাজ্যে ১৫ জন, Vorarlberg রাজ্যে ১১ জন এবং Burgenland রাজ্যে ২ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন।
অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে আজ দেশে করোনার প্রতিষেধক টিকা দেয়া হয়েছে ৫৭,০৮৫ ডোজ। অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনার প্রতিষেধক টিকাদান সম্পন্ন করা হয়েছে ৮৮,৬৬,৪৭৪ ডোজ।
অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনার প্রতিষেধক টিকাদান শেষ করেছেন ৩৯,২৬,২১৩ জন। যা মোট দেশের জনসংখ্যার শতকরা ৪৪%।
অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৫৩,০০১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১০,৭২৮ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন মোট ৬,৩৯,৩৫২ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২,৯২১ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ৩৭ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১০৫ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস