শহিদুল ইসলাম জামাল, চরফ্যাসন, ভোলা: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর নির্দেশনা অমান্য করে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় বসেছে সাপ্তাহিক পশুর হাট। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি।
সোমবার বিকালে উপজেলার দুলারহাট বাজারে বসেছে এই গবাদিপশুর হাট। সপ্তাহে সোমবার ও শুক্রবার হাট বসে। এছাড়াও উপজেলাধীন দুলারহাট, দক্ষিণ আইচা, শশীভূষণ ও চরফ্যাসন থানা এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে পশুর হাটে হাজারো মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বেশিরভাগ মানুষের মুখে ছিলনা মাস্ক এবং মানেননি সামাজিক দূরত্ব।
সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়ন করতে প্রশাসন যখন মাঠে কঠোর অবস্থানে, তখন সাপ্তাহিক পশুর হাট বসিয়েছেন ইজারাদাররা। এসব পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারনে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে সাধারণ মানুষ ও বিশেষজ্ঞরা।
এ ব্যপারে দুলারহাট পশুর হাটে আসা গরু ব্যবসায়ী আলী হোসেন ও নুরুল ইসলাম জানান, কঠোর লকডাউনে চলতে হিমশিম খাচ্ছে পশু ব্যবসায়ীরা। তাই পশুর হাটে তারা গরু নিয়ে এসেছেন। তবে মাস্ক পকেটে আছে। কারো মুখে মাস্ক নেই বলে তারাও পড়েননি।
দুলারহাট পশুরহাটে গবাদিপশু কিনতে আসা রফিক জানান, এই হাটে স্বাস্থ্যবিধি ও সামজিক দূরত্ব মানছেনা কেউ। এ বিষয়ে হাটে কাউকে তদারকি করতেও দেখা যায়নি।
দক্ষিণ আইচা পশুরহাটে আসা ইসমাইল জানান, হাটে কারো মুখে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি এমনকি ঠাসাঠাসি করে একজনের সাথে আরেকজন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে গরু নিয়ে দরদাম চলছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আতিকুর রহমান জানান, এ বছরে উপজেলায় ২৩টি পশুর হাট রয়েছে তবে ঈদের আগ মুহুর্তে আরো কিছু অস্থায়ী পশুর হাট বসতে পারে। তিনি আরো জানান, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সরকার বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে কঠোর লকডাউন ঘোষনা করেছেন। তার মধ্যে একটি হলো জনসমাগম করা যাবেনা। কিন্তু পশুর হাট বসার জন্য এবছরে এখনো কোন ধরনের নির্দেশনা পাইনি। যারা গাবাদি পশুরহাট বসাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, চলমান লকডাউনের মধ্যে কোন ধরনের পশুরহাট বসতে পারবেনা এ ধরনের কোন অনুমতি উপজেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া হয় নি। তবে কেউ আইন অমান্য করে পশুরহাট বসালে তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানাকে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চরফ্যাসন/ইবিটাইমস/আরএন