ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট; পিরোজপুর: লকডাউনের প্রতি পিরোজপুরের সাধারনের অনিহা দেখা গেছে। দেশ ব্যাপী লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে পিরোজপুরের পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে জনগনের অবাধ চলাফেরা লক্ষ করা গেছে। শুক্রবার (০২ জুলাই)সকালে শহরের বিলাস চত্বর সহ বিভিন্ন স্থানেই নারী-পুরুষের ব্যাপক ভীড় দেখা গেছে।
শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে লকডাউন কার্যকর করতে শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথে পুলিশের চেক পোস্ট সহ ভ্রাম্যমান পুলিশের দল কাজ করছে।
শুক্রবার (০২ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বর এলাকায় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ সহ একদল পুলিশ লকডাউন কার্যকর করতে চেক করে ও বিশেষ জরুরী ছাড়া কাউকে শহরে ডুকতে দিচ্ছেন না।
ওই দিন সকাল থেকে বেলা ১২ পর্যন্ত শহরের ধামুধর ব্রীজ সংলগ্ন প্রধান কাঁচা বাজার ও মাছ বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে। কেউই মানছেন না স্বাস্থ্য বিধি। এদের অনেকেরই মাস্ক থাকলেও তা যথাস্থানে না রেখে রাখা হয়েছে মুখের নিচের অংশে।
শহরের বিভিন্ন স্থানে বিজিবি, পুলিশ সহ আইশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল দেখা গেছে। প্রশাসনের কঠোরতার কারনে শহরের কোথাও কোথাও দু-একটি মোটর সাইকেল, রিক্সা বা অটো গাড়ি চলতে দেখা গেলেও পায়ে হেটেই বেড় হওয়া মানুষের ভীড় বেশী। প্রায় অধিকাংশ মানুষই পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে শহরের ভীড় জমাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ বাংলা নিউজকে জানান, লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।কিন্তু সাধারন জনগনের মধ্যে এ ব্যাপারে সচেতনতা না থাকলে তা কার্যকর করা পুলিশের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়বে। তাই সকলকেই স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশকে সহযোগীতা করতে হবে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানান, শুক্রবারের (০২ জুলাই) গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় মোট ৫৬ জনকে করোনা আক্রান্ত হিসাবে সনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে পিরোজুপর সদরে ১৬, নেছারাবাদে ৯, কাউখালী ১, ভান্ডারিয়া ১৮, মঠবাড়িয়া ৮ ও নাজিরপুরে ৪ জন সনাক্ত হয়েছে।
জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ঘরেই জ্বরে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। তবে জ্বরে আক্রান্ত এসব রোগীরা তাদের নমুনা পরীক্ষা করছেন না।
এইচ এম লাহেল মাহমুদ /ইবিটাইমস