লালমোহনে গরু চুরির হিড়িক, চোরচক্র আটক না হওয়ায় বাড়ছে আতঙ্ক

লালমোহন প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনে হঠাৎ করেই গরু চুরির হিড়িক পরেছে। চলতি মাসেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে কমপক্ষে ৭টি গরু চুরির তথ্য পাওয়া গেছে। তবে চোর কিংবা গরুর কোনো সন্ধান মেলেনি।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক মাস আগে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলবাগিচা গ্রামের শফিউল্লাহ মীরের গরু চুরি হয়। এরপর গত ৪ জুন (শুক্রবার) একই এলাকার সামছল হক বদ্দারের গরুও চুরি হয়। এ ঘটনার রেশ না কাটতেই তিনদিন পর ৭জুন (সোমবার) রাতে চুরি হয় পাশের ওয়ার্ডের হেলাল শিকদারের গরু। একই ইউনিয়নের কালিরটেক এলাকায়ও ৩টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।

মালিকরা জানান, চুরি হওয়া প্রতিটি গরু প্রায় ৫০হাজার থেকে ৭৫হাজার টাকা মূল্যের। প্রতিদিনই গরু চুরি হচ্ছে, তবে চোর কিংবা গরুর কোনো খোঁজ পাচ্ছিনা। তারা বলেন, গরু হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে।

লালমোহন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাজাহান মিয়া বলেন, গরু চুরিরোধে ইউনিয়নের চৌকিদার ও দফাদার নিয়ে পরিষদে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন আগেও উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর ঘাটে রাতের আঁধারে গরু পারাপার করতে গিয়ে রিসিটবিহীন দুটি গরু আটকের ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে সমাধান দেয়া হয়। করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে অনেকেই এখন চুরির পথ বেছে নিয়েছে বলে ধারণা তাদের। তবে এসব চুরি বন্ধে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর তাগিদও দিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, গরু চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। তবুও এসব চুরিরোধে রাতে টহল টিম জোরদার করা হবে বলে জানান তিনি।

সালাম/ইবিটাইমস/এমএন

EuroBanglaTimes

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »