ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলায় ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে একাধিক বিয়ে ও প্রতারনার অভিযোগে নূর নাহার নামের এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সাগর বেকারী সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত নারী ভোলা পৌরসভার মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
নূর নাহারের বিরুদ্ধে প্রতারনার সু-নির্দিষ্ট অভিযোগে ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। একই অভিযোগে মামলায় অন্য অভিযুক্ত মোঃ ওমর ফারুক নামের এক পুলিশ সদস্যকেও আটকের চেষ্টা চলছে।
থানা ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, নুর নাহার তার আসল জাতীয় যার পরিচয়পত্রটি গোপন রেখে জালিয়াতী করে ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে তামান্না আকতার নামে আরও একটি জাতীয় পরিচয়পত্র তুলেন। যার নং-৯৫৭৮৭৬২৯০৯, তাং ১০ মে ১৯৯৭। একইসঙ্গে নুর নাহার নিজের পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন লোকের সাথে বিয়ের প্রতারনা করে আসছিলো বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তার এই প্রতারনার খপ্পড়ে পরে অনেক পুরুষ হয়রানীর শিকার হয়েছিলো। এক পর্যায়ে নুর নাহারের ভুয়া আইডি কার্ড খুলে বিয়ে বানিজ্যের বিষয়টি প্রকাশ পেলে প্রতারনা শিকার স্বামী মহিউদ্দিন ওই নারীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এবং নির্বাচন অফিস বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নির্বাচন অফিসের নজরে আসলে তারা ওই প্রতারক নারী নুর নাহার এর বিরুদ্ধে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি প্রতারনা মামলা দায়ের করে।
মামলার বাদী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মিজানুর রহমান জানান, এই নারী তথ্য গোপন করে দুটি জাতীয় পরিচয় পত্র গ্রহণ করেন। যা আইন পরিপন্থী। সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে তার সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর ভোটার তালিকা আইন ২০১০ এর ১৪ এবং ১৫ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী এ সংক্রান্ত অপরাধের সাজা কমপক্ষে ১ বছরের জেল ও নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, গ্রেফতারকৃত এই নারীর বিরুদ্ধে মানুষকে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
সাব্বির বাবু/ইবিটাইমস/এমএন