ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার দৌলতখানের ৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪২ শিক্ষার্থীর ২০২০ সালের (জুলাই-ডিসেম্বর) ৬ মাসের উপবৃত্তির ৩৭ হাজার ৮০০ টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে একটি আইটি প্রতিষ্ঠান। অভিযুক্ত ইন্টারনেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান “অর্না নেটে”র মালিক উপজেলার হাজিপুর এসএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন মিঠু।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার অপারেটর মো: ছাব্বির হোসেন নিজের ও তার মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও মোবাইল নাম্বার শিক্ষার্থীদের নামের বিপরীতে বসিয়ে দিয়ে নিজেদের মোবাইলে টাকা পেতে এ অপচেষ্টা চালান। আর এ কাজটি সম্পাদন করেছেন ওই ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা এন্ট্রি করার সময়।
যেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েছেন সেগুলো হচ্ছে- দৌলতখান মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম রাম রতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুকদেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দিদারুল্যাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর পদ্মা রেজি: প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বামনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ২০২১ সালের উপবৃত্তির কাজ করতে গিয়ে বিষয়টি ধরা পড়ে।
জালিয়াতির শিকার বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের অভিযোগ, অর্না নেটের মালিক শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন ছাড়া বিদ্যালয়গুলোর পাসওয়ার্ড, ইএমআইএস কোড অন্য কারও জানা থাকার কথা নয়।
৪২ জন শিক্ষার্থীর নামের সঙ্গে ছাব্বির ও তার মা ছায়েরা খাতুনের মোবাইল নাম্বার যথাক্রমে- ০১৫৮০৭২৩১০৯, ০১৬০৯৫৪৭৪১৬ এবং তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যুক্ত হলো কিভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে ছাব্বির বলেন, আমাকে সাজ্জাদ হোসেন মিঠু স্যার মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছেন। আমাকে ফাঁসাতে তিনিই এ কাজ করেছেন। এ অভিযোগ অস্বীকার করে সাজ্জাদ হোসেন মিঠু বলেন, ছাব্বির অন্যত্র কাজ করবে বলে স্বেচ্ছায় আমার প্রতিষ্ঠানের কাজ ছেড়ে দিয়েছে। সে-ই এ কাজ করেছে। তাকে মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: হোসেন বলেন, ঘটনা সম্পর্কে শিক্ষকরা তাকে অবহিত করেছেন। বিষয়টি সংশোধনের চেষ্টা চলছে।
ভোলা/ইবিটাইমস/এমএন