বেনাপোল প্রতিনিধি: করোনা সংক্রমন রোধে বেনাপোল বন্দর সহ সীমান্ত জুড়ে শুক্রবার রাত থেকে কঠোর নজরদারি শুরু করেছে ৪৯ ব্যটালিয়নের বিজিবি সদস্যরা। ভারতীয় ট্রাক চালকরা যাতে বন্দরের বাইরে বের হতে না পারে সেজন্য বন্দর এলাকায় বিজিবি মোতায়ন করা হয়েছে।
বিজিবি সদস্যরা বন্দর সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় চলাচলকারী লোকজনদের মাস্ক ব্যবহার করার জন্য সচেতন করছেন। যারা মাস্ক ব্যবহার করছেন না তাদেরকে বাধ্য করছেন মাস্ক ব্যবহারে।
অবৈধভাবে যাতে কেউ সীমান্ত পারাপার না হতে পারে সেজন্য পুরো সীমান্ত জুড়ে বিজিবি’র টহল জোরদার করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট এর সংক্রমণ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে মানুষের অবৈধ গমনাগমনের মাধ্যমে ভাইরাস বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে প্রেক্ষিতে বেনাপোলের সীমান্তবর্তী সাদিপুর, বড়আচড়া, গাতিপাড়া, দৌলতপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা ও শিকারপুর সহ বেনাপোল বন্দর এলাকাকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিজিবি। এসব এলাকায় অবৈধ যাতায়াত প্রতিরোধে বিজিবি সদস্যরা বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনের ওসি আহসান হাবিব ইউরোবাংলা টাইমসকে জানান, শুক্রবার (৪জুন) ভারত থেকে ৭৮ জন বাংলাদেশী যাত্রী দেশে ফিরেছেন। তাদেরকে পুলিশ পাহাড়ায় বেনাপোল ও যশোরের বিভিন্ন হোটেল ও গেস্ট হাউসে রাখা হয়েছে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য।
এদিকে, যশোর ৪৯ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সেলিম রেজা সরেজমিনে প্রতিদিন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন। তিনি জানান, করোনা প্রতিরোধে তার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বেনাপোল/ইবিটাইমস/এমএন