ঢাকা: ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ এমন প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় সংসদে দেশের ৫০ তম বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল। করোনায় ভঙ্গুর স্বাস্থ্য খাতকে প্রাধান্য দিয়ে গেল অর্থ-বছরের চেয়ে ৩ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। এ ছাড়া করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
এবার বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব রাখা হয়েছে ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব রাখা হয়েছে, ১ লাখ ৭ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা।
বেসররকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির তথ্য বলছে দেশে করোনায় নতুন করে ১ কোটি ৬৪ লাখ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে নেমে গেছে। নতুন দরিদ্রের সংখ্যা আড়াই কোটি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে নতুন বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে দেয়া হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। ১ লাখ ৭ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে এবারের বাজেটে। যা মোট বাজেটের ১৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং জিডিপির ৩ দশমিক ১১ শতাংশ। প্রথমবারের মতো সর্বাধিক দরিদ্রপ্রবণ ১৫০ টি উপজেলায় সব বয়স্ক ও বিধবা নারী ভাতার আওতায় এসেছে। ভাতার তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে ১৮ লাখ অসচ্ছল প্রতিবন্ধী আর করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহন শ্রমিকরা। কয়েক লাখ দরিদ্র মা পাবেন মাতৃকালীন ভাতা। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা ১২ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হচ্ছে। এতে বরাদ্দ বাড়বে ১ হাজার ৯২০ কোটি টাকা।
এবার সামাজিক সুরক্ষা বরাদ্দে যোগ হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার। জেলা প্রশাসকদের তালিকায় মতে ৩৫ লাখ ২ হাজার ৫শ কর্মহীন দরিদ্রকে দেয়া হবে নগদ সহায়তা।
ঢাকা/ইবিটাইমস/আরএন