চরফ্যাশন,প্রতিনিধিঃ ঘূর্ণীঝড় “ইয়াস” এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বঙ্গপোসাগরের কোলঘেষেঁ অবস্থিত উপকূলীয় অঞ্চল ভোলার অসংখ্য পরিবার। ভোলার বিভিন্ন স্থান চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় কয়েক হাজার পরিবার।
দুর্যোগকালীন মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বৃহস্পতিবার (২৭মে) উপকূলে অবস্থিত মনপুরা উপজেলার চর-কলাতলীর প্রায় শতাধিক পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করে কোস্ট ফাউন্ডেশন।
আজ শুক্রবার (২৮মে) বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত চরফ্যাশন উপজেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঢালচর ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়।
ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানঃ আব্দুস সালাম হাওলাদার এছাড়া কোস্ট ফাউন্ডেশনের উপ নির্বাহী পরিচালক সনতকুমার ভৌমিক, ভোলা জেলা সহকারী পরিচালকঃ রাশিদা বেগম, হেড সিওঃ মোঃ ফরিদ উদ্দিন, আর পিসিঃ মোঃ আইয়ুব আলী, আর পিসিঃ মোঃ নূর হোসেন আর,পিসিঃ মিজানুর রহমান এবং কোস্ট ফাউন্ডেশন এর অন্যান্য সহকর্মীবৃন্দ।
কোস্ট ফাউন্ডেশন ভোলা জেলার সহকারী পরিচালক মোসাঃ রাশিদা বেগম জানান এসকল অঞ্চলে (প্রতিবন্ধী, গর্ভবতী মা , প্রবীণ/বৃদ্ধ , শিশু) এবং ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়া অসহায় পরিবার চিহ্নিত করে আমরা কোস্ট ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি। তিনি আরো জানান যেকোনো দুর্যোগকালীন সময়ে অসহায় মানুষের পাশে থাকেন কোস্ট ফাউন্ডেশন।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট ঝোড়ো বাতাসে সরকারি হিসাবে ভোলার ৭টি উপজেলায় ১১ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৭ হাজার ৭৩০টি ঘর। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫৭৯টি ঘর।
এ ছাড়া পূর্ণিমার প্রভাব থাকায় নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার ২৩টি চরের ৬৮ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দি অবস্থায় অছে। জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে তাদের জীবন পরিচালনা করতে হচ্ছে।
মোঃ তরিকুল ইসলাম /ইবি টাইমস