আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের ওড়িশা রাজ্যের উত্তরের উপকূলে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।
বুধবার (২৬ মে) দুপুর দেড়টার দিকে ঝড়টি বালাসোর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল। তখন বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার।
বুধবার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি রাজ্যের উপকূলীয় এলাকা বালাসোর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার।
ইয়াসের দাপটে তছনছ অবস্থা দীঘার। সমুদ্রের প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। তীব্র গতির ঝোড়ো হাওয়ার সাথে উত্তাল সমুদ্রের পানি গার্ডওয়াল টপকে ঢুকেছে রাস্তায়। ডুবে গিয়েছে সমুদ্র সংলগ্ন দোকানগুলিও। ডুবে যায় রাস্তার উপর দাঁড় করানো মোটরবাইক, গাড়ি। এই অবস্থায় সমুদ্র তীরবর্তী ও লোকালয়ে সেনা নামিয়ে চলছে উদ্ধারকাজ।
ইয়াসের প্রভাবে প্লাবিত মন্দারমনি, তাজপুরও। মন্দারমণিতে বীভৎস প্রভাব পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের। অধিকাংশ হোটেলগুলিতে পানি ঢুকেছে। তীব্র ঝোড়ো হাওয়ায় উড়ে গেছে বাড়ির চাল।
এদিকে, ইয়াসের তান্ডবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সব মিলিয়ে ৫১টি বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় ৭০ কিলোমিটার নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বুধবার নবান্নে এই পরিসংখ্যান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি পর্যলোচনা করে আশা করা যাচ্ছে ইয়াস পরবর্তী ছয় ঘণ্টায় আরও দুর্বল হবে। এটা বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ঝাড়খণ্ডে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আশঙ্কা থাকায় সেখানে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া এর উপকূলবর্তী এলাকাগুলো থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে প্রশাসন।
ডেস্ক/ইবিটাইমস/আরএন